ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২২, ০৯:১১ পিএম
পারমাণবিক অস্ত্র প্রস্তুত রাখার পর এবার কৌশলগত ক্ষেপণাস্ত্র বাহিনীকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।প্রেসিডেন্ট পুতিনের এই নির্দেশের পর ক্ষেপণাস্ত্র বাহিনী ও নৌবাহিনী উচ্চ সতর্কতামূলক অবস্থানে রয়েছে বলে জানিয়েছে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
রাশিয়ার বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্সের বরাত দিয়ে কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরার খবরে এ তথ্য জানা গেছে।
আরও পড়তে পারেন-পশ্চিমা দেশগুলো মিথ্যার সাম্রাজ্য: পুতিন
ইন্টারফ্যাক্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই সোইগু প্রেসিডেন্ট পুতিনকে অবহিত করেছেন, ক্ষেপণাস্ত্র বাহিনী, নৌবাহিনীর নর্দান এন্ড প্যাসিফিক অঞ্চলের নৌবহর ও দূরপাল্লার বিমান পরিচালনাকারী সংস্থা লড়াইয়ের অবস্থান নিয়েছে।
আলজাজিরার খবরে বলা হয়, রাশিয়ার দূরপাল্লার বিমান পরিচালনাকারী সংস্থার অধীনেই দেশটির দুটি বোমা বর্ষণকারী ডিভিশন রয়েছে। অপরদিকে, ক্ষেপনাস্ত্র বাহিনী হলো রাশিয়ার সম্পূর্ণ একটি আলাদা বাহিনী। এই বাহিনী ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করতে বিশেষভাবে পারদর্শী।
এদিকে, কিয়েভে মূহুর্মূহু বিস্ফোরণের মধ্যেই সীমান্তে চলছে ইউক্রেন ও রাশিয়ার প্রতিনিধি দলের বৈঠক। প্রতিনিধিদের মধ্যে রয়েছেন ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেইকসি রেজনিকোভ। এর আগে ইউক্রেন বেলারুশের কাছে রাশিয়ার সঙ্গে কোনওরকম আলোচনায় বসতে অস্বীকার করেছিল ইউক্রেন। কারণ, এখানে সীমান্তের কাছেই মোতায়েন রয়েছে রুশ বাহিনী।
আরও পড়তে পারেন: পশ্চিমাদের জবাবে এবার বিমান চলাচলে পাল্টা ব্যবস্থা রাশিয়ার
ইউক্রেন সরকারের সূত্র অনুযায়ী, মস্কোর সঙ্গে এই আলোচনার প্রধান উদ্দেশ্য অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা এবং ইউক্রেন থেকে রুশ সেনা প্রত্যাহার।
আলোচনা শুরুর আগে ক্রেমলিন তাদের আনুষ্ঠানিক অবস্থান সম্পর্কে আগাম কিছু জানায়নি।সোমবার পঞ্চম দিনে পড়ল রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। আলোচনা শুরুর আগে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকোভ সাংবাদিকদের বলেছেন, আমরা আলোচনা শুরুর অপেক্ষায় রয়েছি। আমি আলোচনার ক্ষেত্রে আমাদের অবস্থান কী হবে, তা এখনও জানাতে চাই না।
আরও পড়তে পারেন: পুতিন কি শেষতক পারমাণবিক শক্তির প্রয়োগ ঘটাবেন?
প্রসঙ্গত, প্রসঙ্গত, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী। সোমবার দেশটির ৪টি শহরে দখলে নিয়েছে রুশ বাহিনী। হামলা শুরুর পর থেকে গত চার দিনে আনুমানিক ৫ হাজার ৩০০ রুশ সেনা নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন সরকার।
সোমবার ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। তবে ইউক্রেন সরকারের এই দাবি নিশ্চিত করতে পারেনি বিবিসিসহ পশ্চিমা বিশ্বের বিভিন্ন গণমাধ্যম।