লড়াইয়ের অভিজ্ঞতা আছে এমন দাগি আসামিদের কারাগার থেকে ছেড়ে দেওয়ার ঘোসণা দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। সোমবার নতুন এক ভিডিও বার্তায় এ ঘোষণা দেন।খবর বিবিসির
জেলেনস্কি বলেন, “নৈতিকতার বিবেচনায় এমন সিদ্ধান্ত সহজ না হলেও রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ইউক্রেনকে রক্ষার স্বার্থে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এটি প্রতিরক্ষার জন্য কাজে লাগবে।” ওই ভিডিও বার্তায় জেলেনস্কি রুশ সৈন্যদের অস্ত্র ব্যবহার না করার আহ্বান জানান।
আরও পড়তে পারেন: এবার ‘কৌশলগত ক্ষেপণাস্ত্র প্রস্তুত রাখার’ নির্দেশ পুতিনের
রুশ সৈন্যদের উদ্দেশ্যে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘অস্ত্র ত্যাগ করে এদেশে থেকে চলে যাও। তোমাদের কম্যান্ডারদের বিশ্বাস করোনা। প্রোপাগান্ডা বিশ্বাস করোনা। নিজেদের জীবন বাঁচাও।”
ওই ভিডিও বাতায় ইউক্রেনকে দ্রুত সদস্য করে নেয়ার জন্য প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতি আহ্বান জানান।
জেলেনস্কি বলেন, “আমরা ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতি আবেদন করেছি যেন নতুন বিশেষ উদ্যোগে ইউক্রেনকে তাৎক্ষণিক সদস্যপদ দেওয়া হয়।”
আরও পড়তে পারেন: অবশেষে ইউক্রেনের সহায়তায় সাড়া দিল ন্যাটো
ওই ভিডিও বার্তায় ৪৪ বছর বয়সী এই নেতা বলেন, “ইউরোপীয়দের সঙ্গে একসঙ্গে থাকাই আমাদের লক্ষ্য। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, ইউরোপের সঙ্গে মিলে সমানতালে এগিয়ে যেতে হবে। আমি মনে করি, এটিই ন্যায্য, এটি সম্ভব।”
রুশ হামলায় শিশুরা মারা যাচ্ছে উল্লেখ করে জেলেনস্কি আরও বলেন, “মস্কোর হামলার প্রথম চার দিনে ১৬ শিশু নিহত হয়েছে। এ ছাড়া আরও ৪৫ শিশু আহত হয়েছে।”
আরও পড়তে পরেন-পশ্চিমা দেশগুলো মিথ্যার সাম্রাজ্য: পুতিন
প্রসঙ্গত, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী। সোমবার দেশটির ৪টি শহরে দখলে নিয়েছে রুশ বাহিনী। হামলা শুরুর পর থেকে গত চার দিনে আনুমানিক ৫ হাজার ৩০০ রুশ সেনা নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে ইউক্রেন সরকার।
সোমবার ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে। তবে ইউক্রেন সরকারের এই দাবি নিশ্চিত করতে পারেনি বিবিসিসহ পশ্চিমা বিশ্বের বিভিন্ন গণমাধ্যম।