করোনা সংক্রমণের দিক থেকে বিশ্বের দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে ভারত। বিপুল জনসংখ্যার এ দেশটি প্রতিদিনই করোনা সংক্রমণে একের পর এক নতুন রেকর্ড গড়ছে। এরমধ্যে দেশটিতে ‘কুম্ভমেলা’ পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছে বলে সতর্ক করেছেন স্বাস্থ্য বিশেজ্ঞরা।
হরিদ্বারের কুম্ভমেলাকে করোনার ‘সুপার স্প্রেডার’ বলা হলেও নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত মেলা চালিয়ে যেতে অনড় কর্তৃপক্ষ। স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, কুম্ভমেলা উপলক্ষে সাধু ও সন্ন্যাসীদের ভিড় কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ বাড়িয়ে তুলেছে। ইতোমধ্যেই বিভিন্ন আখড়ার সাধুরা কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন।
তবে চলমান এই পরিস্থিতিতে কুম্ভমেলায় অংশ নেওয়া ১৩টি আখড়ার মধ্যে দু’টি আখড়া মেলা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সে রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতির অবনতির জন্যই নিরঞ্জনী আখড়া এবং তপোনিধি শ্রী আনন্দ আখড়া এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানানো হয়।
উত্তরাখণ্ডের স্বাস্থ্য বিভাগের একাধিক কর্মকর্তা জানান, গত ৫ এপ্রিল থেকে ১৪ এপ্রিলের মধ্যে ৬৮ জন সাধু করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। একইসঙ্গে আরও বহু সাধুর মধ্যে সংক্রমণ দেখা গেছে। আখড়ায় গিয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে সাধুদের আরটি-পিসিআর নমুনা পরীক্ষা করানো হচ্ছে বলেও তিনি জানান।
মেলা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবারই সেখানে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৩২ জন। কিন্তু গত ক’দিনে মেলায় এসে আক্রান্ত হওয়ার জেরে কত জনের মৃত্যু হয়েছে, সেই হিসাব প্রশাসনের কাছে নেই।
তবে মধ্যপ্রদেশে নিরওয়ানি আখড়ার অন্যতম প্রধান মহামণ্ডলেশ্বর কপিল দেব দাস কোভিড আক্রান্ত হয়ে গত বৃহস্পতিবার মারা গেছেন। এ মৃত্যুর সংবাদের পরপরই দু’টি আখড়া তাদের মেলা বাতিলের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে।
নিরঞ্জনী আখড়া নাগা সন্ন্যাসীদের অন্যতম বড় আখড়া। নিরঞ্জনী আখড়ার সম্পাদক রবীন্দ্রপুরী দেশটির সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে বলেছেন, ‘মকর সংক্রান্তির জন্য প্রধান শাহি স্নান ১৪ এপ্রিল হয়ে গিয়েছে। আমাদের আখড়ার অনেকের মধ্যে কোভিডের লক্ষণ দেখা দিয়েছে। তাই আমাদের কাছে এ বারের মেলা শেষ।’