চট্টগ্রামে একদিনে আরও ৩৯৯ জনের শরীরে করোনাভাইরাসে সংক্রমণ ধরা পড়েছে এবং মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের। বুধবার (৩০ জুন) জেলার সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বী গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত ৫৮ হাজার ৭২৪ জন।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাব ও চট্টগ্রামের ৯টি ল্যাবে ১ হাজার ৩৬৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে শনাক্ত হয়েছে ৩৯৯ জন। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে চট্টগ্রাম মহানগর এলাকায় ২৮৪ জন এবং উপজেলায় ১১৫ জন। উপজেলায় সবচেয়ে বেশি শনাক্ত হয়েছে ফটিকছড়িতে ৩২ জন। এছাড়া সীতাকুণ্ডে ২৪ জন, রাউজানে ২০ জন এবং মিরসরাইয়ে ১৬ আক্রান্ত হয়েছেন।
চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি গণমাধ্যমকে জানান, গত ২৪ ঘণ্টার নমুনা পরীক্ষায় ৩৯৯ জন নতুন আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে নগরে ২৮৪ জন এবং উপজেলায় ১১৫ জন। তবে উপজেলাভিত্তিক তথ্য বিশ্লেষণে ফটিকছড়ি উপজেলায় সংক্রমণের হার বেশি। তাই সংক্রমণ রুখতে এখনই জনসাধারণের সচেতন হওয়া জরুরি।
এর আগে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত ২৩ জুন থেকে ৮ দিনের জন্য লকডাউন করা হয় ফটিকছড়ি উপজেলা। কিন্তু লকডাউনের শেষ দিনে চট্টগ্রামের উপজেলাগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ আক্রান্ত হয়েছে এই উপজেলায়।
স্বাস্থ্যবিধি মানতে জনসাধারণের উদাসীনতায় সংক্রমণ বাড়ার জন্য দায়ি বলছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তারা বলেন, শুধু আক্ষরিক লকডাউন দিয়ে কোনো কাজ হবে না। যদি কোনো রকম তদারকি না থাকে তাহলে এই সংক্রমণ থামানো সম্ভব নয়।