ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২১, ১১:১৪ এএম
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি করোনাভাইরাসের টিকার প্রয়োগ শুরু হয়েছে। তবে এবার এ টিকার সুরক্ষা ও কার্যকারিতার বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্বব্যাপী তা জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
সোমবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা টিকাটির বৈধতা দিয়ে তাদের তালিকাভুক্ত করে। পরে ডব্লিউএইচও’র এক বিবৃতিতে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট এবং দক্ষিণ কোরিয়ার এসকে বায়ো উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার অনুমোদন দেওয়ার কথা জানানো হয়।
তুলনামূলক কম দাম এবং বিতরণ সহজ হওয়ায় এই টিকার প্রশংসা করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধানসহ অন্যান্য বিশেষজ্ঞরা। ডব্লিউএইচও’র প্রধান টেড্রোস অ্যাধানম ঘেব্রেইসাস বলেন, আমাদের কিছু জায়গায় দ্রুত টিকা বিতরণ করতে হবে। সেই সঙ্গে উৎপাদন আরও বাড়ানো দরকার।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি বিশেষজ্ঞ প্যানেল এই টিকা ব্যবহারের অন্তর্বর্তীকালীন সুপারিশ করার কয়েক দিনের মধ্যে এই টিকা সংস্থাটির অনুমোদন পেল। এতে বলা হয়, ওই প্যানেল অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনাভাইরাসের টিকার দুটি ডোজ ৮ থেকে ১২ সপ্তাহের ব্যবধানে দিতে বলেছে।
এছাড়া সাউথ আফ্রিকা ও যুক্তরাজ্যে করোনার যে নতুন ধরন দেখা দিয়েছে সেটাসহ সব দেশেই প্রাণঘাতী ভাইরাসের সংক্রমণে লাগাম টানতে টিকাটি প্রয়োগের পরামর্শ দিয়েছেন ডব্লিউএইচও’র বিশেজ্ঞরা। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকায় যে কোনো টিকার জন্য আবশ্যক নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য এবং কার্যকারিতার প্রমাণ পেয়েছেন তারা।
এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে ফাইজার-বায়োএনটেকের করোনার টিকার জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ফাইজারের টিকাটিই প্রথম ডব্লিউএইচও’র কাছ থেকে জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন পায়।