মার্চ ১, ২০২৩, ০৮:৪০ পিএম
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ছাত্রী ফুলপরী খাতুনকে নির্যাতনের ঘটনায় দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের প্রাধ্যক্ষ শামসুল আলমকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তার স্থলে সাময়িকভাবে প্রাধ্যক্ষের দায়িত্ব পেয়েছেন হলটির সিনিয়র আবাসিক শিক্ষক অধ্যাপক ড. আহসানুল হক।
বুধবার এ বিষয়ে হাইকোর্টের নির্দেশ পাওয়ার পর তাকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। ১৪ মাস ধরে শামসুল আলম দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের প্রাধ্যক্ষের দায়িত্বে ছিলেন।
বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “হাইকোর্ট থেকে বার্তা পাওয়ার সাথে সাথেই অধ্যাপক শামসুল আলমকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে অধ্যাপক আহসানুল হক সাময়িকভাবে প্রাধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করবেন।”
এর আগে, বুধবার দুপুরে ফুলপরী খাতুনকে নির্যাতনের ঘটনায় ইবি শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সানজিদা চৌধুরীসহ পাঁচ ছাত্রীকে সব ধরনের শিক্ষা কার্যক্রম থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের প্রভোস্ট শামসুল আলমকে অবিলম্বে প্রত্যাহার করতেও নির্দেশ দেওয়া হয়।
দুপুরে ফুলপরী খাতুনকে নির্যাতনের ঘটনায় ইবি শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সানজিদা চৌধুরীসহ পাঁচ ছাত্রীকে সব ধরনের শিক্ষা কার্যক্রম থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের প্রভোস্ট শামসুল আলমকে অবিলম্বে প্রত্যাহার করতেও নির্দেশ দেওয়া হয়।
ঘটনাটি নিয়ে দুটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের পর বুধবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক-আল-জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ কয়েক দফা নির্দেশসহ আদেশ দেন।
প্রসঙ্গত, গত ১১ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ১১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে এক ছাত্রীকে শারীরিক নির্যাতন করা হয়। ভুক্তভোগী ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেত্রী সানজিদা চৌধুরী অন্তরা ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে– তারা ওই ছাত্রীকে মারধর করে ও তাকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করে রাখেন। ১৩ ফেব্রুয়ারি সকালে ভয় পেয়ে হল ছেড়ে বাড়ি চলে যান ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী।
পরে র্যাগিংয়ের নামে শারীরিক ও মানসিকভাবে হেনস্তার বিচার ও নিরাপত্তা চেয়ে প্রক্টর ও ছাত্র-উপদেষ্টা দফতর বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে হল প্রশাসন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শাখা ছাত্রলীগ পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করে। বিষয়টি হাইকোর্ট পর্যন্ত গড়ায়। পরবর্তী সময়ে হাইকোর্টের নির্দেশে ক্যাম্পাস ছাড়েন অভিযুক্তরা। হাইকোর্টের নির্দেশে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন।