করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার পর এই প্রথমবারের মতো ছয় লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বিশাল বাজেট ঘোষণা করেছে সরকার। এই প্রস্তাবিত মূল্যস্ফীতি, কৃষি খাত, মানবসম্পদ, শিক্ষা ও কর্মসংস্থানসহ বেশ কিছু খাতকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।এর মধ্যে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। বিগত ২০২১-২২ অর্থবছরে এই খাতে প্রস্তাবিত বাজেট ছিল ৩২ হাজার ৭৩১ কোটি টাকা। ২০২২-২৩ অর্থ বছরে এই খাতে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৩৬ হাজার ৮৬৩ কোটি টাকা।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় জাতীয় সংসদের অধিবেশনে বাজেট বক্তৃতার মাধ্যমে প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। অর্থমন্ত্রী হিসেবে এটি তাঁর চতুর্থ বাজেট। দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বাজেট এটি।
তবে করোনা নিয়ন্ত্রণে আসায় প্রস্তাবিত বাজেটে জরুরি খাতে বরাদ্দ কমিয়ে অর্ধেকে নামানো হয়েছে। ২০২০ সালের মার্চে করোনা হানা দেওয়ার পর স্বাস্থ্য খাতে জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় দশ হাজার কোটি টাকার বাজেট দেওয়া হলেও চলতি অর্থ বছরে তা কমিয়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকা প্রস্তাব রাখা হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাস্থ্যখাতের যে কোনো জরুরি চাহিদা মেটানোর জন্য উভয় বাজেটেই আমরা ১০ হাজার কোটি টাকা করে থোক বরাদ্দ রেখেছিলাম। যদিও দেশে করোনা সংক্রমণ বর্তমানে অনেকটাই স্তিমিত হয়ে এসেছে, কিন্তু এর সম্ভাব্য পুনরাবির্ভাবের আশঙ্কা এখনও রয়ে গেছে, কারণ বিশ্বের অনেক দেশেই এখনও এ অতিমারির প্রকোপ বিরাজমান। সুতরাং কোভিড-১৯ মোকাবেলা ও তজ্জনিত কারণে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে সংঘটিত ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার উদ্দেশ্যে আগামী অর্থবছরেও স্বাস্থ্যখাতের জরুরি চাহিদা মেটানোর জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার থোক বরাদ্দের প্রস্তাব করছি।”
স্বাস্থ্য গবেষণায় বরাদ্দ বাড়েনি। গত অর্থ বছরের মতো এবারও ১০০ কোটি টাকাই রয়েছে।