অন্তর্বর্তী সরকার সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করেনি: শফিকুল আলম

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

জুলাই ৫, ২০২৫, ০৬:৪৭ পিএম

অন্তর্বর্তী সরকার সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করেনি: শফিকুল আলম

ফাইল ফটো

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় ন্যূনতম হস্তক্ষেপও করেনি, যা পূর্ববর্তী আওয়ামী লীগ সরকারের চর্চার সম্পূর্ণ বিপরীত।

শনিবার ঢাকায় ‘গণমাধ্যম সংস্কার শীর্ষক এক আলোচনায় তিনি বলেন, অতীতে সাংবাদিকদের ওপর নানা রকম বিধিনিষেধ আরোপ করা হতো।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি যেন একপ্রকার ‘মনস্টার ছিলেনকোন সংবাদ যাবে, কোনটা যাবে না, সব তাঁর মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হতো,” মন্তব্য করেন শফিকুল। “আমরা সে জায়গায় ফিরে যেতে চাই না। আমরা চাই সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পাক।

তিনি জোর দিয়ে বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার প্রশাসনিক, আইনি বা গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে কোনো ধরনের চাপ সৃষ্টি করেনি।

প্রকাশের স্বাধীনতা বিষয়ে পরিবর্তনের দিকটি তুলে ধরে তিনি বলেন, “ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সাংবাদিকদের মাথার ওপরে একখানা খড়্গ হয়ে ঝুলছিল। এই আইনের মাধ্যমে ৭ হাজারের বেশি মামলা হয়েছে, যার মূল লক্ষ্য ছিল মতপ্রকাশের স্বাধীনতা দমন করা।

তিনি জানান, নতুন সাইবার সিকিউরিটি অধ্যাদেশ প্রণয়নের আগে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। “এই আইন নিয়ে কেউ বলতে পারবে না যে আমরা কারও বাকস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করেছি।

সাবেক সরকার গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মাধ্যমে ‘ভয়ের সংস্কৃতি তৈরি করেছিল অভিযোগ করে শফিকুল বলেন, “ডিজিএফআইসহ বিভিন্ন সংস্থাকে ব্যবহার করে সাংবাদিকদের মুখ বন্ধ করার সংস্কৃতি চালু করা হয়েছিল। আমরা সেটার অবসান ঘটিয়েছি। এখন আমাদের পক্ষ থেকে বারবার বলা হয়েছেকোনো গোপন সংস্থা যেন কোনো সাংবাদিককে ফোন করে না বা হুমকি না দেয়।

নিজেও একজন সাবেক সাংবাদিক হিসেবে শফিকুল আশ্বস্ত করে বলেন, সরকারের ভুল তথ্য সংশোধনের নিজস্ব ব্যবস্থা আছে, তবে কোনো হুমকি সহ্য করা হবে না। “আপনারা যদি কোনো হুমকি পান, আমাদের জানান। আগে কিছুদিন হয়নি বলেই ভাববেন না, ভবিষ্যতেও হবে না। আপনারা সোচ্চার হোন।

গত ১৫ বছরে সংবাদমাধ্যমের ব্যর্থতা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “যারা সেই সময় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তারা আজ প্রতিবাদ করছেন। কেউ কেউ সেটাকে মব বলছে। কিন্তু প্রতিবাদ করা তাদের অধিকার।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মিডিয়া রিফর্ম কমিশনের সদস্য অধ্যাপক গীতি আরা নাসরীন, যমুনা টিভির প্রধান নির্বাহী ফাহিম আহমেদ, ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের সভাপতি রেজওয়ানুল হক রাজা ও সদস্যসচিব ইলিয়াস হোসেন।

Link copied!