প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ৬ই মহররম শিয়া সম্প্রদায়ের শোক মিছিলের আয়োজন করা হয়। কালো-লাল-সবুজের নিশান উড়িয়ে কারবালার শোকের মাতম তুলে শত শত মানুষ অংশ নেয় এই মিছিলে।
মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) বিকেল ৪টায় হোসেনী দালান উত্তর গেইট থেকে মহররমের শোক মিছিলটি শুরু হয়।
শত শত নারী-পুরুষসহ শিশু-কিশোররা কালো পোশাক পরে খালি পায়ে মিছিলে অংশ নেন। বুক চাপড়ে ‘হায় হোসেন, হায় হোসেন’ কান্নার মাতম ধ্বনি তুলে, কেউবা নওয়া (শোকগীতি) পড়তে পড়তে এগিয়ে যায় মিছিলটি।
শোক মিছিলটি পুরনো ঢাকার হোসেনী দালান ইমামবাড়া, চাঁনখারপুল, ঢাকা মেডিকেল রোড, বকশিবাজার চৌরাস্তা (ফজলে রাব্বি হল), আলিয়া মাদ্রাসা, নবকুমার স্কুল, উর্দু রোড, চকবাজার থানা, জেলখানা রোড, নাজিমুদ্দিন রোড, মীর ইয়াকুব ইমামবাড়া প্রদক্ষিণ করে, পুনরায় হোসেনী দালান ইমাম বাড়ার উত্তর গেইটে এসে সমাপ্ত হয়।
কারবালার হৃদয়বিদারক ঘটনার স্মরণে শিয়া সম্প্রদায়ের এই শোক মিছিলটির আয়োজন করে মুহাম্মাদী ফাতেমী ইসলামী ঐক্য সংস্থা।
এই সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি মো: আবু মুসলিম বিন হাই দ্যা রিপোর্ট ডট লাইভকে বলেন, আজ থেকে ১৪শো বছর আগে কারবালা প্রান্তরে রাসুল (সা.) দৌহিত্র ইমাম হোসাইন (রা.) ইসলামকে রক্ষা করার জন্য জীবনকে উৎসর্গ করেছিলেন। তৎকালীন স্বৈরশাসক ইয়াজিদ চেয়েছিল ইসলামকে নিশ্চিহ্ন করতে। ইসলামের বিধিবিধানকে আমূল পরিবর্তন করতে, কিন্তু ইমাম হোসাইন তিনি তার পরিবার ও সঙ্গী-সাথীদের নিয়ে জীবন বিসর্জন দিয়ে ইসলামকে রক্ষা করেছিলেন। তার এই মহান আত্মত্যাগকে চিরস্মরণীয় করার জন্য বিশ্বব্যাপী এই দিবসটাকে পালন করা হয়।
সংস্থাটির উপদেষ্টা মো. আব্দুল হাই বলেন, মুয়াবিয়ার ছেলে ইয়াজিদ চেয়েছিলেন ইসলামকে ধ্বংস করতে ইমাম হোসাইনের (রা.) শাহাদাতের মধ্য দিয়ে ইসলামের বিজয় হয়েছে।
এ সময় তাঁরা শোকাবহ কারবালার নানা ঘটনাবলি তাজিয়া, প্রতীকী, পতাকা, স্লোগান, মাতমে তুলে ধরেন।