মে ৩০, ২০২২, ১১:৩২ এএম
ডলারের দাম বাড়ার প্রভাব পড়েছে ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পে। ভৌত অবকাঠামোগত কাজ শুরুর আগেই বাড়ছে এ প্রকল্পের ব্যয়। প্রকল্পটি পাসের বছর ২০১৭ সালে ডলারের দাম ছিল ৮০ দশমিক ৭০ টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংক এখন তা নির্ধারণ করেছে ৮৯ টাকা। এতে নতুন করে এই প্রকল্পে ৬৫১ কোটি ৭১ লাখ ১৮ হাজার টাকা ব্যয় বাড়ছে।
বুধবার (১ জুন) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্পটি সংশোধনের জন্য প্রস্তাব করা হবে। মূল প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ১৬ হাজার ৯০১ কোটি ৩২ লাখ টাকা। ব্যয় বাড়িয়ে এ প্রকল্পের প্রস্তাব করা হবে ১৭ হাজার ৫৫৩ কোটি ৪ লাখ টাকা।
পরিকল্পনা ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সচিব) মো. মামুন-আল-রশীদ বলেন, মূলত ডলারের দাম বাড়ায় প্রকল্পের ব্যয় বাড়ছে। ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পটি সংশোধনের জন্য একনেক সভায় উপস্থাপন করা হবে। তিনি বলেন, চীন থেকে যে পরিমাণে ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাতে হিসাবের একটু ভুল ছিল। চীন যে পরিমাণে ঋণ দেওয়ার কথা তা দিচ্ছে। বাড়তি ব্যয়টা সরকারকে মেটাতে হবে।
তিনি বলেন, ২০১৭ সালে যখন প্রকল্পটি পাস হয় তখন ডলারের দাম অনেক কম ছিল। এখন ডলারের দাম অনেক বেড়েছে। আমাদের ঋণ পরিশোধ করতে হবে ডলারে। অপরদিকে আমরা ধরে নিয়েছিলাম চীন বাড়তি ঋণ দেবে। কিন্তু বাড়তি ঋণ দিচ্ছে না তারা।
সেতু কর্তৃপক্ষ জানায়, রাজধানী ও এর আশপাশের এলাকার যানজট নিরসনে ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ প্রকল্প একনেকে অনুমোদন দেয় সরকার। মূল প্রকল্প ব্যয়ের মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ধরা হয়েছিল ৫ হাজার ৯৫১ কোটি ৪১ লাখ টাকা এবং চীনা ঋণ ধরা ছিল ১০ হাজার ৯৪৯ কোটি ৯০ লাখ টাকা। সংশোধিত প্রস্তাবে প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১৭ হাজার ৫৫৩ কোটি টাকা।
এর মধ্যে নিজস্ব তহবিল থেকে দেওয়া হবে ১ হাজার ৯০৯ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। যা বেড়ে ৭ হাজার ৮৬০ কোটি টাকা হচ্ছে। অপরদিকে চীনা ঋণ ১ হাজার ২৫৭ কোটি ৮২ লাখ টাকা থেকে কমে হচ্ছে ৯ হাজার ৬৯২ কোটি টাকা।