বেটা
ডিসেম্বর ২৭, ২০২৫, ০৫:৩০ পিএম
চট্টগ্রাম–৪ (সীতাকুণ্ড ও চট্টগ্রাম নগরের আংশিক অংশ) আসনে প্রাথমিকভাবে ঘোষিত প্রার্থী পরিবর্তন করেছে বিএনপি। আসনটিতে দলের চূড়ান্ত মনোনয়ন পেয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ আসলাম চৌধুরী
শনিবার বেলা ১১টার দিকে সীতাকুণ্ড উপজেলার ভাটিয়ারী ইউনিয়নের জলিল গেট এলাকায় নিজ বাসভবনে স্থানীয় বিএনপির নেতা–কর্মীদের নিয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় দলীয় মনোনয়নপত্রের চিঠি প্রদর্শন করেন আসলাম চৌধুরী। এ সময় তিনি দলের সব নেতাকর্মীকে বিভেদ ভুলে ধানের শীষের পক্ষে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
এর আগে গত ৩ নভেম্বর চট্টগ্রাম–৪ আসনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের নাম ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। পরে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার লক্ষ্যে ১৮ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন সালাউদ্দিন।
চট্টগ্রাম–৪ আসনে প্রার্থী পরিবর্তনের বিষয়টি নিশ্চিত করে বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান জানান, সীতাকুণ্ড আসনে আগের প্রার্থী পরিবর্তন করে মোহাম্মদ আসলাম চৌধুরীকে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
সকালের মতবিনিময় সভায় আসলাম চৌধুরী বলেন, কাজী মোহাম্মদ সালাউদ্দিন দীর্ঘদিন ধরে ধানের শীষের পক্ষে জনমত গঠন করেছেন। তিনি দলের একজন পরীক্ষিত নেতা। সবাইকে একসঙ্গে কাজ করে দলকে বিজয়ী করতে হবে।
এ বিষয়ে জানতে কাজী মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। তবে তাঁর ভাই ও উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব কাজী মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, বিষয়টি শুনেছেন, তবে এখনো নিশ্চিত নন। তিনি বলেন, দল যাকেই চূড়ান্ত মনোনয়ন দেবে, সবাই ধানের শীষের পক্ষে কাজ করবেন।
উল্লেখ্য, গত ৩ নভেম্বর কাজী মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের নাম প্রার্থী হিসেবে ঘোষণার পর আসলাম চৌধুরীর সমর্থকেরা ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন। এ সময় টায়ারে আগুন জ্বালানো ও রেলপথ অবরোধের ঘটনাও ঘটে। এসব ঘটনায় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের কয়েকজন নেতাকে বহিষ্কার করা হয়। অন্যদিকে, একই দিন সালাউদ্দিনের অনুসারীরা এলাকায় আনন্দমিছিল করেন। এরপর থেকে দুই পক্ষ পৃথকভাবে দলীয় কর্মসূচি পালন করে আসছিল।
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি মো. মোরসালিন জানান, গত ২০ ডিসেম্বর বিএনপির ৩০০ আসনের প্রার্থীদের নিয়ে আয়োজিত একটি প্রশিক্ষণ সভায় আসলাম চৌধুরী অংশ নেন। ওই সভাতেই তাঁকে মৌখিকভাবে প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত করা হয়। পরে আনুষ্ঠানিকভাবে মনোনয়নপত্রের চিঠি দেওয়া হয়।
