আগস্ট ২৭, ২০২১, ০৪:৪৩ পিএম
দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদ-নদীগুলোর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। পদ্মা-যমুনাসহ ৬টি নদ-নদীর ৯টি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, রাজবাড়ী, পাবনা ও মানিকগঞ্জ জেলার নিম্নাঞ্চলে।
পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন নদীর আশেপাশের নিচু এলাকার লাখো মানুষ। সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় ভেঙ্গে পড়েছে এসব এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা। ভূমি তলিয়ে যাওয়ায় দেখা দিয়েছে গো-খাদ্যের তীব্র সংকট।
এদিকে ফরিদপুর ও শরীয়তপুর জেলার নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল আছে। তবে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, আগামী ৩ থেকে ৭ দিন পানি বাড়ার প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। ফলে সামগ্রিকভাবে দেশের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে।
বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান জানান, ইতোমধ্যে রাজবাড়ী, ফরিদপুর, মানিকগঞ্জে ও শরীয়তপুর অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পদ্মার পাশাপশি যমুনা নদীর পানিও বৃদ্ধি পাচ্ছে। যমুনার পানি বৃদ্ধি আরো ৩/৪ দিন অব্যাহত থাকতে পারে এবং পদ্মার পানি বৃদ্ধি আগামী ১ সপ্তাহ অব্যাহত থাকতে পারে। এরপর পরিস্থিতি উন্নতির দিকে যেতে পারে।
এদিকে উজানের পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণে যমুনাসহ টাঙ্গাইলের সবগুলো নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জেলাটিতে বন্যা পরিস্থিতির সবচেয়ে অবনতি হয়েছে। বাঁধ উপচে পানি প্রবেশ করায় যমুনা নদী তীরবর্তী সদর উপজেলা, কালিহাতী, নাগরপুর, ভূঞাপুর, বাসাইল ও মির্জাপুর উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে এসব ফসলি জমি।
দুই দিন স্থিতিশীল থাকার পর বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) থেকে সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার পাশাপাশি বাড়ছে জেলার অভ্যন্তরীণ নদ-নদীগুলোর পানিও। ক্রমাবনতি হচ্ছে জেলার বন্যা পরিস্থিতির। যমুনা ও অভ্যন্তরীণ নদীগুলোর তীরবর্তী এলাকার বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে ৫টি উপজেলার কয়েক হাজার মানুষ। বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে যমুনা,ধলেশ্বরী ও ঝিনাই নদীর পানি। বাঁধ উপচে পানি প্রবেশ করে একের পর এক নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। দেখা দিয়েছে নদীভাঙন।