ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২৩, ০৫:১০ পিএম
দলের ধারাবাবহিক দুর্বার আন্দোলনে সরকার ও ক্ষমতাসীন দলের নেতারা ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। রাতের ভোটের সরকারের মুখে মানুষের বাকস্বাধীনতার কথা মানায় না বলেও দাবি করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর মুক্তির দাবিতে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। বেরসরকারি সংগঠন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলন এই সমাবেশের আয়োজন করে।
মির্জা আব্বাস বলেন, “ দুর্বার আন্দোলনে সরকার এবং তার নেতাকর্মীরা ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছে। ভীত হয়ে সরকার বিএনপিকে প্রতিহতের ঘোষণা দিয়েছে। বিএনপির জন্য এর থেকে গর্বের আর কিছু হতে পারে না “
আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন,“এই দানবীয় সরকারের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে এ কথা বিএনপি বলেছিল, এখনও বিএনপি বলছে। আওয়ামী লীগের মুখে গণতন্ত্রের কথা মানায় না, লুটেরা সরকারের মুখে মানুষের অধিকারের কথা মানায় না, রাতের ভোটের সরকারের মুখে মানুষের বাকস্বাধীনতার কথা মানায় না, ভোট চোরের সরকারের মুখে অবাধ নির্বাচনের কথা মানায় না। এদেশকে আমরা হায়েনার হাত থেকে মুক্ত করবো।”
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এক বক্তব্যের জবাবে মির্জা আব্বাস বলেন, “কাদের সাহেব বলেছেন, নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হওয়ার অবস্থা সংবিধানে নেই। আমরা বলতে চাই নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই হতে হবে। কারণ, এই তত্ত্বাবধায়ক সরকার এই সংবিধানেই ছিল। এই তত্ত্বাবধায়ক সরকার জামায়াত এবং আওয়ামী লীগের দাবি নিয়েই প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।”
বিএনপির দাবি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, “বেগম খালেদা জিয়াকে আজ স্মরণ করতে হয়। কারণ, তিনি দেশকে ভালবাসেন। তিনিও পারতেন গোলাগুলি খুনাখুনি করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে, কিন্তু তিনি সেটা করেননি। তত্ত্বাবধায়ক সরকার সংবিধানে সংযুক্ত করলেন। নির্বাচন দিলেন। সেই নির্বাচনে আপনারা (আওয়ামী লীগ) পাস করলেন। এরপর আপনারা ক্ষমতায় এসে সেই সংবিধান কাটাছেঁড়া করে বারোটা বাজিয়ে দিয়ে এখন সেখান থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করে দিয়েছেন। আবার বলছেন, সংবিধানের বাইরে কোনো নির্বাচন করার অবস্থা নেই।”
এসময় তিনি আরও বলেন, “আমরাও বলতে চাই—সংবিধানের বাইরে যেতে চাই না, আমরা চাই যে সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছিল, সেই সংবিধানই আপনারা করবেন; যে সংবিধান আছে, সেই সংবিধান নয়। যেই সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছিল, সেই সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে।”
বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারীর সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে অন্যদের মধ্যে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, ঢাকা দক্ষিণের রফিকুল আলম মজনু, স্বেচ্ছাসেবক দলের রাজীব আহসান, মহিলা দলের আফরোজা আব্বাস উপস্থিত ছিলেন।