জুন ১৩, ২০২২, ০১:১৯ এএম
রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের কারণে লজিস্টিক ব্যবস্থায় সঙ্কটসহ খাদ্যশস্য ও ভোজ্যতেলের বাজার পৃথিবীব্যাপী অস্থির হয়ে উঠেছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ্ কে আব্দুল মোমেন।
গতকাল রবিবার সিলেট-২ আসনের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খানের এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সংসদে একথা বলেন।
বাংলাদেশে আমদানিকৃত গমের সিংহভাগ আসে রাশিয়া-ইউক্রেন থেকে উল্লেখ করে ড. মোমেন বলেন, “এ ছাড়া বাংলাদেশ ইউক্রেন থেকে ভোজ্যতেলও আমদানি করে থাকে। কিন্তু যুদ্ধের ফলে সরবরাহ ব্যবস্থা বাধাগ্রস্ত হওয়ার কারণে গম ও ভোজ্যতেলের দাম বেড়েছে। সেই সাথে গম ও তেল দিয়ে তৈরিকৃত খাবারের দামও বেড়েছে।” সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সাথে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সমন্বয়ের মাধ্যমে বিকল্প উৎস থেকে খাদ্যশস্য, ভোজ্যতেল ও রাসায়নিক সার আমদানির পরিকল্পনা রয়েছে বলে তিনি জানান।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে আমদানি খরচ অনেক বেড়ে গেছে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন হয়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট সঙ্কট মোকাবিলায় সরকার নানাবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর অংশ হিসেবে বিলাস দ্রব্যের আমদানি নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।”
রেমিট্যান্স বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ইতোমধ্যে কতিপয় বাস্তবিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে উল্লেখ করে ড. একে আব্দুল মোমেন আরও বলেন, “ এ ছাড়াও মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার মূল্যমান যৌক্তিক রাখতে সরকারি কর্মকর্তাদের সকল প্রকার এক্সপোজার ভিজিট, স্টাডি ট্যুর, ওয়ার্কশপ ও সেমিনারে বিদেশ গমন বন্ধ করা হয়েছে। ব্যাংকারদের ক্ষেত্রেও একই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।