বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক ইমরান শরীফের দুই শিশু কন্যা তাদের মা জাপানি নাগরিক ডা. এরিকো নাকানো কাছে থাকবে বলে আদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। তবে মেয়েদের নিয়ে এরিকো দেশত্যাগ করতে পারবেন না বলেও আদেশে বলা হয়।
রবিবার প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।
এ সময় আগামী তিন মাসের মধ্যে ঢাকার পারিবারিক আদালতে মামলা নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন আদালত। এই সময় পর্যন্ত শিশুরা জাপানি মায়ের কাছেই থাকবে। তবে বাবা দেখা করার সুযোগ পাবেন বলে রায়ে বলা হয়েছে।
এর আগে, গত ৭ ফেব্রুয়ারি জাপানি দুই শিশুকে নিজের জিম্মায় নিতে জাপানি মা নাকানো এরিকোর দায়ের করা আপিলের শুনানি শেষ হয়। এ বিষয়ে রায়ের জন্য ১৩ ফেব্রুয়ারি ধার্য করা হয়।
প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালে ডা. এরিকো নাকানো ও বাংলাদেশি আমেরিকান নাগরিক শরীফ ইমরান বিয়ে করেন। বিয়ের পর তারা টোকিওতে বসবাস শুরু করেন। তাদের ১২ বছরের সংসারে তিন কন্যাসন্তান রয়েছে। তারা টোকিওর চফো সিটিতে অবস্থিত আমেরিকান স্কুল ইন জাপানের (এএসজেআই) শিক্ষার্থী ছিলেন।
২০২১ সালের ১৮ জানুয়ারি শরীফ ইমরানের সঙ্গে এরিকোর বিয়ে বিচ্ছেদ হয়। এরপর ইমরান স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে মেয়ে জেসমিন মালিকাকে নিয়ে যাওয়ার আবেদন করেন। কিন্তু তাতে এরিকোর সম্মতি না থাকায় স্কুল কর্তৃপক্ষ তার প্রস্তাব নাকচ করে। পরে ইমরান দুই কন্যাকে নিয়ে অন্য একটি ভাড়া বাসায় নিয়ে যান।
এরপর এরিকো টোকিওর পারিবারিক আদালতে সন্তানদের জিম্মার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ চেয়ে মামলা করেন। এসবের মধ্যেই গত বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি ইমরান দুই মেয়ে জেসমিন ও লিনাকে নিয়ে দুবাই হয়ে বাংলাদেশে চলে আসেন।
এদিকে গত ৩১ মে টোকিওর পারিবারিক আদালত এরিকোর অনুকূলে জেসমিন ও লিনার জিম্মা হস্তান্তরের আদেশ দেন। পরে ছোট মেয়ে সানিয়া হেনাকে মায়ের কাছে রেখে ১৮ জুলাই এরিকো শ্রীলঙ্কা হয়ে বাংলাদেশে আসেন। পরে তিনি হাইকোর্টে রিট করেন।