ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৩, ০১:০৭ এএম
নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর বলেছেন, জনগণ ও জনপ্রতিনিধিদের মতামত নিয়ে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ করা হবে। সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের কাজ শুরু করতে মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) কমিশন ভবনে বৈঠক আহ্বান করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
রবিবার (৫ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।
তিনি বলেন, পরিসংখ্যান ব্যুরো থেকে জনসংখ্যার চূড়ান্ত রিপোর্ট এখনও আসেনি। এই রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করা আমাদের জন্য কঠিন হয়ে যাচ্ছে। আর নয়, এখনই কাজ শুরু করতে হবে। দ্রুতই কাজ শুরু করা হবে। সীমানা পুনর্নির্ধারণের ক্ষেত্রে জনসংখ্যা হচ্ছে তিন নম্বর গুরুত্ব। এক্ষেত্রে প্রশাসনিক অখণ্ডতাকে প্রাধান্য দেওয়া হবে।
ইসি আলমগীর আরও বলেন, প্রথম গুরুত্ব দেওয়া হবে প্রশাসনিক—যদি কোনো প্রশাসনিক পরিবর্তন না হয়ে থাকে তাহলে তো পরিবর্তন করার প্রয়োজন নেই। যদি কোনো ভৌগোলিক পরিবর্তন না হয়ে থাকে তাহলেও করার প্রয়োজন নেই। এরপর যতদূর সম্ভব জনসংখ্যাকে আমলে নেওয়া হবে। এই একটাই ফ্যাক্টর আছে, সেটা হলো জনসংখ্যা। জনসংখ্যাটাকে তো আর সমবণ্টন করা যায় না। একটা মেলাতে গেলে আরেকটা মেলে না।
আবার যদি প্রশাসনিক অখণ্ডতা ঠিক রাখেন তাহলে দেখা যায় যে, প্রশাসনিক ও ভৌগোলিক অখণ্ডটা ঠিক রাখলে জনসংখ্যা মেলানো কঠিন হয়ে যায়। কারণ, এটা কখনোই মেলানো সম্ভব না। এমনকি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেখবেন কোথাও কোথাও পৌনে তিন লাখ লোক আছে। আবার কোথাও কোথাও প্রায় ১১-১২ লাখ লোকও আছে। তবে গড়ে প্রতি আসনে ৫ লাখ ভোটার হবে। জনসংখ্যা ধরলে শহরে আসন বাড়বে। এক্ষেত্রে ঢাকায় আরও আসন বেড়ে যাবে। এখন কোন পদ্ধতিতে সীমানা পুনর্নির্ধারণের কাজ করব সেটি আগামী সভায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বৈঠকে উপস্থিত সকলের মতামত নিয়ে খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হবে। তারপর শুনানি হবে। শুনানি শেষে আগামী জুনের মধ্যে সীমানা পুনর্নির্ধারণ চূড়ান্ত করা হবে বলে জানান তিনি।