উচ্চ আদালতের আদেশের পরও বিভিন্ন উপজেলার ইউএনও অফিসে ১৯ জন ড্রাইভারের চাকরি স্থায়ীকরণ না করায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কেএম আলী আজমসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে ৪৬৬ জন গাড়িচালক নিয়োগে সরকারি যানবাহন অধিদপ্তরের দেওয়া নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দুই মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
হাইকোর্টের রুল জারি হওয়া অন্য দুইজন হলেন- সরকারি যানবাহন অধিদপ্তরের পরিবহন কমিশনার (অতিরিক্ত সচিব) মো. মিজানুর রহমান ও পরিচালক (সড়ক) মোহাম্মদ মাহবুব শাহীন।
পিরোজপুরের জিয়ানগরের মো. সবুজ আলম, মঠবাড়িয়ার মো.খোকনসহ মোট ১৯ জন গাড়িচালক আদালতে রিট আবেদন করেন। রিট আবেদনকারীদের আইনজীবী আব্দুস সাত্তার পালোয়ান বিষয়টি গণমাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুস সাত্তার পালোয়ান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল কালীপদ মৃধা।
আইনজীবী আব্দুস সাত্তার গণমাধ্যমে বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন ইউএনও কার্যালয়ে মাস্টাররোলে নিয়োগ পাওয়া চালকদের চাকরি না দিয়ে পরিবহণ পুল চালক নিয়োগে ২০১৭ সালে আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে দুটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে বিভিন্ন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে মাস্টাররোলে কর্মরত ২১ জন চালক হাইকোর্টে রিট করেন। ওই রিটে জারি রুলের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে দুটি বিজ্ঞপ্তি অবৈধ ঘোষণা করে ২০১৫ সালে ১৭ সেপ্টেম্বর রায় দেন হাইকোর্ট। রায়ে ওই ২১ চালককে ৩০ দিনের মধ্যে স্থায়ী নিয়োগ দিতে নির্দেশ দেন। ওই চালকদের মধ্যে দুজন মারা গেছেন বলে জানা গেছে।