মার্চ ৩০, ২০২৩, ০৫:৩৪ পিএম
দৈনিক যুগান্তরের বিশেষ প্রতিনিধি মাহবুব আলম লাবলুর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়েরের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)। লাবলুর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবিও জানায় সংগঠনটি।
বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) ডিআরইউ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি মুরসালিন নোমানী ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল এই দাবি জানান।
বিবৃতিতে ডিআরইউ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বলেন, শুরু থেকেই তথ্য প্রযুক্তি আইন এবং পরবর্তীতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সাংবাদিক সমাজ বিরোধীতা করে আসছিল এবং এবং তা বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছে। এই আইনে পেশাদার সাংবাদিকরা প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হচ্ছেন। সর্বশেষ ডিআরইউ স্থায়ী সদস্য ও দৈনিক যুগান্তরের বিশেষ প্রতিনিধি মাহবুব আলম লাবলুর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের হয়েছে। প্রায় একই সময়ে দৈনিক প্রথম আলোর সাভার প্রতিনিধি শামসুজ্জামান সামস্ ও পত্রিকাটির সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামান শামস-এর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের ও গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ এবং তার মুক্তির দাবি জানাচ্ছে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সংবাদপত্রে প্রকাশিত কোন সংবাদে কেউ সংক্ষুব্ধ হলে সরকারী প্রতিষ্ঠান প্রেস কাউন্সিলে তার প্রতিকার পাবার সুযোগ রয়েছে। কিন্তু এক্ষেত্রে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তির বেশিরভাগ নির্ধারিত এই প্রক্রিয়ার বাইরে গিয়ে বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করে সাংবাদিকদের হয়রানি করছে। এই আইনের অপব্যবহার প্রতিনিয়ত সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে।
বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় আরো বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি স্বাধীন, মুক্ত ও অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার জন্য যেহেতু হুমকী হয়ে দাড়িয়েছে এবং তা বারবার প্রমাণিত হচ্ছে সেজন্য আমরা অবিলম্বে এই আইনটি বাতিলের দাবি জানাচ্ছি।
প্রসঙ্গত, গতকাল বুধবার সাইবার ট্রাইব্যুনাল চট্টগ্রামে মামলাটি করেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক উপ-অর্থবিষয়ক সম্পাদক হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ১৪ মার্চ দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার প্রথম পৃষ্ঠায় চট্টগ্রাম নগরীর সিআরবি নিয়ে শাহ আলম সিন্ডিকেটের হাতে জিম্মি রেল শিরোনামে প্রকাশিত এক সংবাদে হেলাল আকবর চৌধুরীর নাম আসে। পরদিন অভিযুক্ত সাংবাদিক তার ফেসবুকে প্রতিবেদনটি শেয়ার করেন।প্রতিবেদনে বাদীকে দখলবাজ,টেন্ডারবাজ, চাঁদাবাজ এবং সন্ত্রাসীদের গডফাদার হিসেবে উল্লেখ করা হয়। এতে বাদীর মানহানি হয়েছে উল্লেখ করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেন।