সুখের সংজ্ঞা কী? এমন প্রশ্নের উত্তর আজও কেউ বের করতে পারেনি। শিল্পীর কণ্ঠে তাই উঠে আসে সুখের সংজ্ঞা জানবার আকুল আকুতি: ‘সুখ তুমি কী বড় জানতে ইচ্ছে করে’। তারপরও সুখ নিয়ে বিস্তর কথা হয়, কবি সুখ নিয়ে কবিতা লেখেন, গবেষকরা গবেষণা করেন। গবেষকরা ফি-বছর সুখী মানুষদের নিয়ে সুখী দেশের তালিকা করেন। এবারও করেছেন। সেই তালিকায় এবার আমাদের বাংলাদেশ ভাল স্কোর করেছে বলে বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানা যাচ্ছে। ছয় ধাপ উপরে এসেছে বাংলাদেশ।
ভৌগোলিক কারণে দীর্ঘায়িত শীতকাল এবং সূর্যালোক কম পাওয়ার অতৃপ্তি থাকলেও, প্রাত্যহিক জীবনের সবচেয়ে সুখী ফিনল্যান্ডের মানুষজন। জাতিসংঘের সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সলিউশনস নেটওয়ার্কের (এসডিএসএন) বার্ষিক প্রতিবেদনে স্ক্যান্ডেনেভিয়ান এই দেশটির সুখের চিত্র উঠে এসেছে এক নম্বরে।
সুখী দেশের তালিকায় এ বছর ছয় ধাপ উন্নতি হয়েছে বাংলাদেশের। ১০৭তম অবস্থান থেকে উঠে এবার বাংলাদেশ আছে ১০১ নম্বরে। তবে মানুষ তার ব্যক্তিগত জীবনে কতোটা সুখী সেটার গড় মূল্যায়ণে বাংলাদেশ তার প্রাপ্ত স্কোর অনুযায়ী তালিকার ৬৮ নম্বরে স্থান পেয়েছে। যা ২০১৭-২০১৯ সালের স্কোরের চাইতে ৯ ধাপ আগে।
খবরে বলা হয়েছে, বরাবরের মতোই তালিকায় প্রথমে রয়েছে ফিনল্যান্ড। গত চার বছর ধরে দেশটি বিশ্বের সবথেকে সুখী দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়ে আসছে। জাতিসংঘের সৌজন্যে ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট নামের এই বার্ষিক প্রতিবেদনে ১৪৯টি দেশের মধ্যে জরিপ চালানো হয়েছে। এতে ফিনল্যান্ডের পরেই আছে ডেনমার্ক।
এরপরই আছে সুইজারল্যান্ড, আইসল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডস। আগের অবস্থান থেকে চার ধাপ পিছিয়েছে বৃটেন। আগে দেশটির অবস্থান ছিল ১৩তে। তবে এবার সেখান থেকে পিছিয়ে এসে ১৭তে দাঁড়িয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান এবার ১৯তম।
মূলত সুখের পরিমাপক হিসেবে, দেশের সামাজিক সুযোগ-সুবিধা, সামাজিক উদারতা, ব্যক্তিগত স্বাধীনতা, মোট দেশজ উৎপাদন-জিডিপি, গড় আয়ু এবং দুর্নীতির মাত্রা বিষয়গুলোকে বিবেচনা করা হয়। এবার সবথেকে বেশি প্রাধান্য দেয়া হয়েছে করোনাভাইরাস মহামারীতে মানুষের সার্বিক পরিস্থিতিকে। এসব মানদণ্ডে বিশ্বের সবথেকে অসুখী দেশ হিসেবে আফগানিস্তানের নাম উঠে এসেছে। তার পরেই রয়েছে লেসোথো, বোতসোয়ানা, রুয়ান্ডা এবং জিম্বাবুয়ে।