জুলাই ৯, ২০২৩, ০৪:০৭ পিএম
নির্বাচন কমিশনের আমন্ত্রণে বাংলাদেশ সফরে এসে কাজ শুরু করে দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ছয় সদস্য বিশিষ্ট নির্বাচন অনুসন্ধানী অগ্রগামী দল। প্রতিনিধি দলটি ২৩ জুলাই পর্যন্ত বাংলাদেশের অবস্থান করে সরকার, বিরোধী দল ও নির্বাচন কমিশন ও সুশীল সমাজের সাথে বৈঠক করবেন বলে জানা গেছে।
প্রতিনিধি দলটি পৌঁছেই ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনাদের সাথে বৈঠক করেছেন।
একাধিক কূটনৈতিক সূত্র জানায়, রবিবার সকালে ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির বাসায় অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে ছয় সদস্যের দলটির নেতৃত্ব দেন সেলেরি রিকার্ডেো। তার সাথে ছিলেন ডেপুটি চিফ অবজারভার লোয়ানো দিমিত্রি। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি দেশের ঢাকায় নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত এবং ঊধ্বর্তন কর্মকর্তারা।
কূটনৈতিক একাধিক সূত্র নিশ্চিত করে বলেছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা কয়েকটি ভাগে বিভক্ত হয়ে ঢাকায় আসেন। বেশ কয়েকজন সদস্য গতকাল শনিবার ঢাকায় আসলেও প্রতিনিধি দলের নেতা চেলেরি রিকার্ডো এবং সদস্য মেরি-হেলেন অ্যান্ডারলিন রবিবার ঢাকা এসে পৌঁছান।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলটি নির্বা্চন কমিশনের আমন্ত্রণে ১৫দিনের বাংলাদেশ সফর শেষে আসছে ২৩ জুলাই ঢাকা চৈড়ে যাবেন। এসময় তারা সরকারের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল, নির্বাচন কমিশন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এবং সুশীল সমাজের সাথে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ইস্যুতে বৈঠক করবেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক বলেন, নির্বাচন কমিশনের আমন্ত্রণে এ সফর অনুষ্ঠিত হচ্ছে বলে এক্ষেত্রে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তেমন কিছু করণীয় নেই। অনুসন্ধানী মিশন থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই পরবর্তীতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে পূর্ণাঙ্গ নিবার্চন পর্যবেক্ষণ মিশন পাঠানোর বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।
ঢাকায় নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলিও গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, “প্রাক-নির্বাচনী পর্যেবক্ষক দলটি বাংলাদেশে নির্বাচন পর্যবেক্ষণে আসতে পারবে কিনা, বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ইইউ প্রতিনিধি দলের আগমন।
চার্লস হোয়াইটলি আরও জানান, অনুসন্ধানী মিশন দলটি ঢাকায় অবস্থানকালে সরকারের প্রতিনিধি, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতা, নাগরিক সমাজ এবং গণমাধ্যমের প্রতিনিধিদের বৈঠক করতে আগ্রহী। আর এ বিষয়টি বাংলাদেশ সরকারকে এরই্ মধ্যে জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে এক বিশাল পর্যবেক্ষক দল সবশেষ বাংলাদেশে এসেছিল।