জুন ১৯, ২০২২, ০৮:১৬ পিএম
আসছে জুলাই মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহেই শুরু হচ্ছে হজ। আর এই হজ পালনের উদ্দেশ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে মক্কা ও মদিনায় জড়ো হচ্ছেন হজযাত্রীরা।
গত ৫ জুন বাংলাদেশ থেকে হজফ্লাইট শুরু হয়। এরই মধ্যে প্রায় ২০ হাজারের বেশি হজযাত্রী মক্কা ও মদিনার বিভিন্ন হোটেলে অবস্থান করছেন।বাংলাদেশ থেকে মক্কায় পৌঁছানোর পরই হজ যাত্রীদের দেখভাল করছেন সৌদি সরকারের বিশেষ টিম।
ভিডিও রিপোর্ট দেখতে ক্লিক করেন
এবিষয়ে হজ পালনের উদ্দেশ্যে মক্কায় পৌঁছানো বাংলাদেশি হজযাত্রী মোহাম্মদ আল আমিন দ্য রিপোর্ট ডট লাইভকে বলেন, “বাংলাদেশ থেকে সৌদি এয়ারলাইন্সে রওয়ানা দেয়ার পর সঠিক সময়ে আমরা জেদ্দা এয়ার পোর্টে পৌঁছেছি। জেদ্দা এয়ারপোর্ট থেকে সৌদি সরকার যেভাবে আমাদের বাংলাদেশি হাজীদের আপ্যায়ন করেছে, যেভাবে আমাদের হোটেল পর্যন্ত নিয়ে এসেছে- তা সত্যিই এক অন্যরকম অনুভূতি।“
তবে সৌদি আরবে অতি গরমের কারণে হজের বিভিন্ন প্রাক আনুষ্ঠিকতা পালনে বাংলাদেশিরা বেশ কষ্টের সম্মুখিন হচ্ছেন।বিশেষ করে হোটেল থেকে বের হয়ে উমরা, তাওয়াফসহ বিভিন্ন ধর্মীয় রীতি পালনে তাদের বেশ বেগ পোহাতে হচ্ছে। তারপরও এসব লোকজন আল্লাহর নির্দেশ পালনে সৌদিতে আসতে পারায় খুব খুশি।
তীব্র গরমের কারণে প্রতিবারের মতো মক্কা থেকে আরাফাতের দিকে যাওয়ার সড়কের পাশে অবস্থিত মিনায় তাবু টানানোর ব্যবস্থা থাকলেও এবছর এখন পর্যন্ত এ ব্যবস্থা রাখা হয়নি। তবে খুব শিগগিরই তাবু টানানোর ব্যবস্থা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ মিশনের হজ কাউন্সিলর জহিরুল ইসলাম।
তিনি দ্য রিপোর্ট ডট লাইভকে বলেন, “মিনায় এখন পর্যন্ত তাবু বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। এ বিষয়ে মিনায় সৌদি কর্তৃপক্ষের সাথে আমাদের একটা মিটিং হয়েছে। তারা জানিয়েছে, খুব অচিরেই হাজীদের জন্য তাবু বরাদ্দ দেওয়া হবে। বাংলাদেশের হাজীরা কোন কোন তাবুতে কোন কোন এলাকায় অবস্থান করবেন-আমরা আশা করছি তা খুব অচিরেই জানতে পারবো।“
এদিকে, মক্কায় বাংলাদেশ হজ অফিস সূত্রে জানা গেছে, এখানে বাংলাদেশি হজযাত্রীদের সেবায় কাজ করছেন ডাক্তার আশিকুর রহমান ও ডাক্তার নুরুন নেওয়াজ আহমেদের নেতৃত্বাধীন একটি মেডিকেল টিম। এই টিমে রয়েছেন চিকিৎসক, নার্স, ফার্মাসিস্ট, মেডেকেল টেকনোলজিস্টসহ ১৩৮ জন।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ থেকে চলতি বছর মোট ৫৭ হাজার ৫৮৫ জন হজ পালন করবেন। এর মধ্যে সরকারিভাবে যাচ্ছেন ৪ হাজার ৫৬৪ জন। আর অন্যরা যাচ্ছেন বেসরকারিভাবে। মোট যাত্রীদের অর্ধেক হজযাত্রী আনা নেওয়া করছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। যাওয়া-আসা মিলিয়ে ৬৫টি করে মোট ১৩০টি ফ্লাইট পরিচালনা করবে তারা।অন্য অর্ধেক বাংলাদেশি যাত্রী যাচ্ছেন সৌদি আরবের সৌদি এয়ারলাইনস ও ফ্লাই নাস বিমান সংস্থায়।