হঠাৎ যানজটের তীব্রতা বেড়েছে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায়। শুক্র ও শনিবার ফাঁকা রাস্তার পর রবিবার রাজধানীর মূল সড়কগুলোতে তীব্র যানজট লক্ষ করা যায়। কেন যানজট এত বাড়ল, এমন প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে মিলল নানান ব্যাখ্যা। জানা গেল,সামনের কয়েক দিন রাজধানীর কিছু এলাকার মূল সড়কে যানজট বাড়তে পারে।
অবকাঠামোর কাজে রাস্তা সরু হয়েছে
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) বিভিন্ন জোনের ট্রাফিক বিভাগের তিনজন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মেট্রোরেল প্রকল্পের যন্ত্রপাতি রাখার জন্য ঢাকার বিভিন্ন এলাকার রাস্তা কিছু জায়গায় দখল হয়ে আছে। শাহবাহ,বাংলামটর ও ফার্মগেট এলাকায় রাস্তা সরু হয়ে গিয়েছে। যার ফলে একটি একটি করে যানবহন স্বল্প গতিতে চলাচল করছে। যার ফলে শাহবাগ মোড়েই অন্যান্য রুটের যানবহনেরও শিথিল গতি দেখা যায়।
বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশনস কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) একটি প্রকল্পের কাজে ব্যাপক আকারে খোঁড়াখুঁড়ি চলছে। যার ফলে আজিমপুর,নীলক্ষেত এলাকার রাস্তা একপাশে পুরোপুরি ব্লক হয়ে যায়। একলেন দিয়ের যাওয়া আসা করার ফলে সেখানে যানজট সৃষ্টি হয়।
রাস্তার নির্মাণকৌশলেও যানজট
মগবাজার ফ্লাইওভার থেকে চারটি লেন নিচে নামে। পুরোনো রমনা থানার গলির সামনে এসে এটি হয়ে যায় দুই লেন। চারটি লেন যখন দুটি লেনের সঙ্গে মিলে যায়, স্বাভাবিকভাবেই তখন যানজট তৈরি হয়। এ ছাড়া রাজধানীর সোনারগাঁও ক্রসিংয়ের চারটি রাস্তার দুটি কখনোই একসঙ্গে সচল থাকে না। এই রাস্তার নির্মাণটাই এমন যে একটি সময়ে একটিমাত্র রাস্তাতেই গাড়ি চলাচল করতে পারে। ১২ মিনিট পরপর একেকটি রাস্তা খুলে দেওয়া হয়। ফলে ওই সময় অনেক গাড়ি জড়ো হয়ে যানজট তৈরি হয়। রিকশার আধিক্যও যানজটের অন্যতম কারণ।
স্কুল কলেজ খুলে দেয়ার সিদ্ধান্তের প্রভাব
দীর্ঘদিন পর স্কুল ও কলেজ খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে অনেকেই বই ও শিক্ষা সংক্রান্ত উপকরন কিনতে আজকেই বের হয়েছে। এছাড়া সাপ্তাহিক ছুটির দিনের পর রবিবার থাকায় যানজটের তীব্রতা বৃদ্ধি পায়। এছাড়া টিকা গ্রহণ করার জন্যও অনেকেই কর্মস্থল থেকে হাসপাতালে আসছে। এই বাড়তি যাতায়াতের ফলে একটি সংকট সৃষ্টি হয়েছে।