বেটা
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমনের বিরোধীতায় বিক্ষোভে চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে চার নেতাকর্মী নিহতের প্রতিবাদে শনিবার সারা দেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি এবং পরদিন রবিবার সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। তবে হেফাজতকে কোনো ধরনের হরতাল করতে দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
শুক্রবার (২৬ মার্চ) রাত ১০টার দিকে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে গণমাধ্যমকে এ কথা জানান তিনি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকা, চট্টগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তাণ্ডবের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এরপর সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে কোনো হরতাল করতে দেওয়া হবে না।’
এর আগে শুক্রবার (২৬ মার্চ) রাত ৮টায় পুরানা পল্টনে এক সংবাদ সম্মেলনে সারা দেশে শনিবার (২৭ মার্চ) বিক্ষোভ ও রবিবার (২৮ মার্চ) হরতালের ঘোষণা দেয় হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির আবদুর রব ইউসুফী।
এদিন দুপুরে রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সামনে মুসল্লিদের একাংশের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল ছুঁড়ে। জলকামানও ব্যবহার করা হয়। এই ঘটনায় সাংবাদিকসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন।
একই দিন চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে পুলিশের সঙ্গে হেফাজতে ইসলামের কর্মীদের কয়েক দফায় সংঘর্ষ ঘটে। সংঘর্ষে কয়েকজন আহত হলে তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চারজন মারা যান বলে জানায় হাসপাতাল সূত্র।
এদিকে চট্টগ্রামে চারজন নিহতের খবর ছড়িয়ে পড়লে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জামিয়া ইউনুছিয়া ও জামিয়া সিরাজিয়া মাদ্রাসার কয়েকশ শিক্ষার্থী জুমার নামাজের পর লাঠি ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে রাস্তায় নেমে আসে।
সেসময় তারা সরকারি-বেসরকারি অফিস, বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল, স্বাধীনতার নানা স্থাপত্য, পুলিশ সুপারের কার্যালয় ও রেলস্টেশনে পুড়িয়ে দেয়। উপড়ে ফেলা হয় রেললাইন। ফলে বিকেল চারটা থেকে বন্ধ হয়ে যায় ঢাকা-সিলেট ও ঢাকা-চট্টগ্রাম ট্রেন চলাচল। এছাড়া সারা দেশে ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।
-20241121105543.jpg)
-20241027115010.png)
