মার্চ ২৪, ২০২২, ০৭:৫৭ পিএম
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি ও দুর্নীতির প্রতিবাদে বাম গণতান্ত্রিক জোটের ডাকা আগামী ২৮ মার্চের হরতালে সহিংসতা হলে জনগণের জানমাল বাঁচাতে নিরাপত্তা বাহিনী যথাযথ ভূমিকা পালন করবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
আজ বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের 'পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, চট্টগ্রাম' উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, 'হরতাল-ধর্মঘটের মতো রাজনৈতিক চর্চা রাজনৈতিক দলগুলো করতে পারে। আমাদের কথা হলো কেউ যদি রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা করার বা ভাঙচুর করে অথবা কেউ যদি কোনো ধ্বংসাত্মক কাজ করে, তাহলে অবশ্যই নিরাপত্তা বাহিনী তাদের কাজ করবে।'
'আমরা মনে করি যে রাজনৈতিক দলগুলো সহনশীলতার পরিচয় দেবে। তারা কোনো ভাঙচুরে যাবেন না বা সহিংসতা জাতীয় কোনো কাজ করবেন না, যেন জনগণের দুর্ভোগ সৃষ্টি বা জনগণের জানমাল বাঁধার মুখে পড়ে,' যোগ করেন তিনি।
'সারাবিশ্বেই তেলের দাম বেড়েছে' জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'যেজন্য হরতাল ডেকেছে সারাবিশ্বেই কিন্তু তেলের দাম বেড়েছে, শুধু বাংলাদেশ বাড়েনি। আপনারা জানেন রাশিয়া ইউক্রেনের মধ্যে যে যুদ্ধ সেই যুদ্ধের জন্য আমাদের পরিবহন ব্যয় এবং মূল্য অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।'
'বাংলাদেশ তেল আমদানি করে, আমাদের দেশের অনেক কিছু আমদানিনির্ভর। আমদানিতে দাম যে অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে তার প্রভাব আমাদের বাজারে কিছু পড়েছে, এটা অস্বাভাবিক কিছু নয়,' বলেন আসাদুজ্জামান খান।
মন্ত্রী বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী সবকিছু যেন সহনীয় পর্যায়ে থাকে তার জন্য ভ্যাট এবং কর কমিয়েছেন যেন সহজলভ্য হয়। এখন পেঁয়াজের দামসহ সবকিছু এখন নিম্নমুখী। আমাদের প্রচেষ্টার কিন্তু কোনো অভাব নেই তারপরেও কেউ যদি হরতাল ডেকে থাকে, তাহলে আমাদের কিছু বলার নেই। আমাদের আবেদন থাকবে তারা যেন কোনো ধরনের ধ্বংসাত্মক কাজ না করে।'
এ সময় পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ে সশস্ত্র গোষ্ঠীদের মধ্যে রক্তপাতের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে মন্ত্রী কোনো উত্তর দেননি।
এর আগে পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর উদ্বোধন করেন মন্ত্রী। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন এবং ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত চট্টগ্রাম অস্ত্রাগারের ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে এ জাদুঘর নির্মাণ করা হয়েছে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তারা।
পুরোনো অস্ত্রাগারের আদল ঠিক রেখেই এ জাদুঘর সংস্কার করা হয়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে তৎকালীন পুলিশ ব্যারাক। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে বিপ্লবীদের ভূমিকা জনগণের কাছে তুলে ধরতে জাদুঘরে রাখা হচ্ছে ছবিসহ রেপ্লিকা। মাস্টার দা সূর্যসেনের ফাঁসির মঞ্চের রেপ্লিকাও এখানে স্থান পেয়েছে।