ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের হল ইউনিটসমূহের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হতে পারে চলতি মাসের শেষ সপ্তাহ কিংবা আগামী নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে। সর্বশেষ ৫ বছর আগে ২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের হল কমিটির কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
হল কমিটির কাউন্সিল কখন অনুষ্ঠিত হবে এবিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে সাদ্দাম হোসেন দ্যা রিপোর্টকে বলেন, সশরীরে ক্লাস শুরু হলেই চূড়ান্ত দিন-তারিখ ঘোষণা করা হবে’।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আরো বলেন, ‘হল কমিটির কাউন্সিল করতে আমাদের সকল প্রস্তুতি নেওয়া আছে। সশরীরে ক্লাস শুরু হলেই কাউন্সিলের তারিখ ঘোষণা করা হবে’। তিনি আরো বলেন, ‘আমরা নতুন নেতৃত্বের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করতে চাই’।
তিনি আরো বলেন, ‘যেহেতেু দীর্ঘ ছুটির শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পোসে ফিরছে এবং একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হচ্ছে ফলে আমাদের তাদের স্বাস্থ্যের নিরাপত্তার দিকটি আমাদের বিবেচনা করতে হচ্ছে’।
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতারা এর আগে গণমাধ্যমে বলেছেন, তারা বিশ্ববিদ্যালয় খুললেই কাউন্সিলের তারিখ ঘোষণা করবেন। বিভিন্ন হলের ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরাও একই কথা বলেছে।
যদিও চলতি মাসের ৫ তারিখে হলগুলো খুলেছে কিন্তু তারপরও ছাত্রলীগের হল ইউনিটের কাউন্সিল সংঘটনের তেমন কোন তৎপরতা চোখে পড়েনি। ছাত্রলীগের বিধি অনুযায়ী হল কমিটিগুলোর মেয়াদ এক বছর হলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সর্বশেষ হল কমিটি গঠিত হয়েছিল ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে। এর পর প্রায় ৫ বছর পেরিয়ে গেলেও নতুন করে কোন কমিটি হয়নি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে নতুন হল কমিটির এক প্রার্থী বলেন, তাদের রাজনীতি করার সৎসাহস রয়েছে। কিন্তু কোন পদ-পদবী ছাড়া দলের জন্য কাজ করা কঠিন। তিনি আরো বলেন, ‘ভাইরা প্রটোকল চান, কিন্তু সেই প্রটোকল কিভাবে দেওয়া হয় তা নিয়ে তারা ভাবতে চাননা’। এমনকি আমাদের অনেকে পদ-পদবী না পেয়ে হতাশ হয়ে রাজনীতি ছেড়ে দিয়েছে।
তার মতো অনেকেই জানান, ছাত্র রাজনীতিতে একধরনের উদাসীনভাব চলে এসেছে। এরকম চলতে থাকলে রাজনীতিতে আর ‘মাই ম্যান’ বাদে আর কোন কর্মী খুঁজে পাওয়া যাবেনা।
তারা আরো বলেন, এখন এমনা মনে হচ্ছে কোভিড-১৯ মহামারীরর ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার পরও ছাত্রলীগ নেতারা নতুন কমিটি দেওয়ার ব্যাপারে মনস্থির করতে পারছেন না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়াউর রহমার হলের ছাত্রলীগ কর্মী সালেকুর রহমান বলেন, ‘ছাত্র রাজনীতিতে বয়স একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। প্রতিবছর নতুন নতুন ব্যাচ ক্যাম্পাসে আসছে কিন্তু নতুন নেতৃত্ব আসছে না। আর নতুন নেতৃত্ব না আসলে একসময় ছাত্ররাজনীতিতে বিপর্যয় নেমে আসবে।
তিনি আরো বলেন,‘আমার মাস্টার্স শেষ অথচ আমি এখনো কোন পদ পদবী পাই নাই’।