ডিসেম্বর ১৪, ২০২৩, ০৯:৩৪ পিএম
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ শরিকদের ৭ আসন ছেড়ে দিয়েছে। আসনগুলো হলো- কুষ্টিয়া-২, লক্ষ্মীপুর-৪, বগুড়া-৪, রাজশাহী-২, সাতক্ষীরা-১, বরিশাল-৩ এবং পিরোজপুর-২। এর মধ্যে ওয়ার্কার্স পার্টিকে তিনটি, জাসদকে তিনটি এবং জাতীয় পার্টিকে (মঞ্জু) একটি আসন দেয়া হবে।
বৃহস্পতিবার দলটি এ ঘোষণা দিয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন আওয়ামী লীগ নেতা এবং ১৪ দলের সমন্বয়ক মুখপাত্র আমির হোসেন আমু।
তিনি আরও জানান, ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেননকে বরিশাল-৩, মুস্তফা লুৎফুল্লাহকে সাতক্ষীরা-১ এবং ফজলে হোসেন বাদশাকে রাজশাহী-২ আসন ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আর জাসদের হাসানুল হক ইনুকে কুষ্টিয়া-২, এ কে এম রেজাউল করিম তানসেনকে বগুড়া-৪ এবং মোশাররফ হোসেনকে লক্ষ্মীপুর-৪ আসন ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
এর বাইরে জাতীয় পার্টির (জেপি-মঞ্জু) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জুকে পিরোজপুর-২ আসন ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
গেল ২৬ নভেম্বর আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে দলীয় মনোনয়ন তালিকা প্রকাশ করে আওয়ামী লীগ। সে সময় এই সাতটি আসনের মধ্যে কুষ্টিয়া-২ আসনে কোনো প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি আওয়ামী লীগ। এবার এই আসনটি শরিকদের ছেড়ে দিলো তারা।
এছাড়াও অন্য যেসব আসন শরিকদের দেয়া হয়েছে সেগুলোতে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থীদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেবে বলে জানা গেছে।
বাকি ছয় আসনে মনোনয়ন পেয়েছিলেন, রাজশাহী-২ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছিলেন মোহাম্মদ আলী। এছাড়া বগুড়া-৪ হেলাল উদ্দিন কবিরাজ, লক্ষ্মীপুর-৪ ফরিদুন্নাহার লাইলি, পিরোজপুর-২ কানাই লাল বিশ্বাস, সাতক্ষীরা-১ ফিরোজ আহমেদ স্বপন, বরিশাল-৩ আসনে সরদার মো. খালেদ হোসেন।
৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল ও নিষ্পত্তি করার শেষ দিন ১৫ ডিসেম্বর। এরপর ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে হবে। আর ১৮ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দিতে হবে। তারপর জানুয়ারির ৫ তারিখ পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচারণা চালানো যাবে। তবে ইসির নির্দেশনা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে যে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচারণা ব্যতীত নির্বাচনে ব্যাঘাত ঘটতে পারে বা ভোটারদের নির্বাচনে অংশ নিতে নিরুৎসাহিত করতে পারে এমন কোনো কাজ করা যাবে না।