ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২৫, ১২:২৫ পিএম
রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বেড়েছে উত্তেজনা। বিশ্লেষকেরা বলছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ভারতের সঙ্গে হওয়া অসম চুক্তি বাড়িয়েছে জটিলতা। যা মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিচ্ছে দুই দেশের সীমান্তরক্ষীদের।
৫ আগস্ট ছাত্র-আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রয় নেন। এরপরই দু-দেশের মধ্যে নানা ইস্যুতে দেখা দেয় টানাপোড়েন। এর মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ বিভিন্ন সীমান্তে উত্তেজনা তৈরি হয় কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণকে কেন্দ্র করে। সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে নির্মাণ কাজ নিয়ে আপত্তি জানায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এতে জড়িয়ে পড়েন সীমান্তের বাসিন্দারাও।
এ নিয়ে “সীমান্তে উত্তেজনা: আওয়ামী লীগকে দুষছেন বিশেষজ্ঞরা” –এই শিরোনামে একটি প্রতিবেদন করেছে ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভি।
এতে বলা হয়, ১৯৭৫ সালে দুই দেশের সমঝোতা অনুযায়ী সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে কোনো কাজ করতে চাইলে অপরপক্ষের অনুমতি নেওয়ার নিয়ম আছে। তবে ২০১১ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে করা চুক্তি অনুযায়ী ১৫০ গজ নয়, প্রয়োজনে শূন্য রেখার মধ্যেই কাঁটাতারের বেড়া দিতে পারবে ভারত। বিশ্লেষকেরা বলছেন, এমন চুক্তিই মুখোমুখি দাঁড় করাচ্ছে বিজিবি ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে (বিএসএফ)।
এ নিয়ে নিরাপত্তা বিশ্লেষক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) জাহেদ রহমান বলেন, ‘১৯৭৫ সালে হওয়া চুক্তিটির সঙ্গে নতুন চুক্তি ভিন্নতর হওয়ার কারণে এই ঘটনা ঘটছে। আমি মনে করি, নতুন চুক্তিটি অসম চুক্তি। এতে বাংলাদেশের ক্ষতি হয়েছে। গত ৩০ বা ৪০ বছরে ভারতের যত অভিলাস ছিল, তা এই চুক্তির মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হয়েছে।’
বিশ্লেষকেরা বলছেন, বাড়তি সুবিধা দিয়ে ভারতকে খুশি রাখতেই সীমান্ত নিয়ে এমন অসম চুক্তি করে আওয়ামী লীগ সরকার।
ব্রি. জে. (অব.) জাহেদ রহমান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ হয়ত মনে করেছে ভারত তার শাসনকে আরও দীর্ঘতর করতে পারবে, যদি ভারতকে কিছু দেওয়া হয়। আমরা শুধু ভারতকে দেওয়াটাই দেখে এসেছি, নেওয়াটা দেখিনি। যদি আওয়ামী লীগের দেশপ্রেম থাকত, দেশের মানুষের প্রতি ভালোবাসা থাকত তাহলে তারা এই চুক্তির দিকে যেত না।’
জানা গেছে, নয়াদিল্লিতে হতে যাওয়া বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের বৈঠকে প্রাধান্য পেতে পারে সীমান্ত ইস্যু।