নভেম্বর ৮, ২০২৩, ০৬:৩৬ পিএম
আগুন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে পাড়ায়-মহল্লায় প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
২০২৩ ও ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশের (আইডিইবি) ৫৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বুধবার (৮ নভেম্বর) সকালে প্রতিষ্ঠানটির মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন,‘এরা পাকিস্তানি বাহিনীর চেয়েও জঘন্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। সুতরাং এদের বিরুদ্ধেও পাড়ায়-মহল্লায় প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।’
গণপ্রকৌশল দিবস ২০২৩ ও ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশের (আইডিইবি) ৫৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বুধবার ( ৮ নভেম্বর ) সকালে প্রতিষ্ঠানটির মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের সরকার সমস্ত আগুন সন্ত্রাসীদের নির্মূল করতে বদ্ধপরিকর। যারা আগুন সন্ত্রাস চালাচ্ছে, এরা দুষ্কৃতিকারী আর আগুন সন্ত্রাসের যারা নির্দেশদাতা-হুকুমদাতা-অর্থদাতা—এরাও অপরাধী। রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি, ইন্টারনেটের মাধ্যমে উঁকি দিয়ে দিয়ে গাড়ি-ঘোড়া জ্বালানোর নির্দেশ দেয়! সুতরাং এরাও অপরাধী।
শেষ পর্যন্ত সমস্ত অপরাধীদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র ব্যবস্থা গ্রহণ করবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা নিশ্চুপ থাকতে পারি না। সাধারণ মানুষের গাড়ি-ঘোড়া পোড়াবে, সাধারণ মানুষকে পুড়িয়ে মারবে, সাংবাদিকদের ওপর হামলা পরিচালনা করবে, পবিত্র কোরআন শরিফ পোড়াবে, হাসপাতালে হামলা চালাবে, তাদের বিরুদ্ধে আমরা নিশ্চুপ থাকতে পারি না।’
প্রকৌশলীদের উদ্দেশে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার কেবল ব্যবস্থা নিচ্ছে। আমি আপনাদেরও অনুরোধ জানাবো, আপনাদের এই আঙ্গিনায় (আইডিইবি) হামলা চালিয়েছে, দুটি পোড়া গাড়ি এখনো আছে সেখানে। এই সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে পাড়ায়-মহল্লায়-দেশে প্রতিরোধ গড়ে তুলুন। এরা আজকে জাতির শত্রুতে পরিণত হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে যেমন পাড়ায়-মহল্লায় প্রতিরোধ গড়া হয়েছিল, পাকিস্তানি বাহিনীও মানুষকে জীবন্ত পোড়ায় নাই, তারা হত্যা করেছে। এরা পাকিস্তানি বাহিনীর চেয়েও জঘন্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। সুতরাং এদের বিরুদ্ধেও পাড়ায়-মহল্লায় প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সরকার তাদেরকেই গ্রেপ্তার করছে, যারা এই আগুন সন্ত্রাসের সাথে যুক্ত। হুকুমদাতা-অর্থদাতা, নির্দেশদাতা-আয়োজনকারী। সুতরাং এ নিয়ে বিভ্রান্ত হওয়ার কোনো সুযোগ নাই।’
হাসান মাহমুদ বলেন, “যারা বিবৃতি দেন, সরকারকে সংযমী হওয়ার পরামর্শ দেন, পুলিশকে পিটিয়ে মারল, হাসপাতালে হামলা হলো, শতাধিক পুলিশ, ২৫ জনের বেশি আনসার আহত হলো—আমি সেদিন হাসপাতালে গিয়েছিলাম।
ঢাকা মেডিকেল এবং পুলিশ হাসপাতাল, দুই হাসপাতালে সেদিনই ১০০ এর বেশি পুলিশ ছিল। ৩২ জন সাংবাদিক আহত হয়েছেন, এর পরে কি সরকার আঙ্গুল চুষবে নাকি এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে? সুতরাং সেই কারণে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করছি”।
আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয় আমরা ফয়সালা করব মন্তব্য করে তিনি বলেন, “বাংলাদেশ সাড়ে ১৭ কোটি মানুষের দেশ। পৃথিবীর ৩৫তম অর্থনীতির দেশ। বাংলাদেশ ৭২-৭৩ সালের বাংলাদেশ নয়। বাংলাদেশ এখন ২০২৩ সালের বাংলাদেশ, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ। আমাদের বন্ধুরা পরামর্শ দিতে পারেন কিন্তু এমন পরামর্শ দেবেন না যেটি আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ হতে পারে।”