সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গত শুক্রবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ সদরের নয়ামাটি এলাকায় পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। তখন পরিবারের সবার সঙ্গে বাসার ছাদে যায় ৬ বছরের ছোট্ট মেয়ে রিয়া গোপ। হঠাৎ গুলি এসে লাগে প্রথম শ্রেণির এই শিক্ষার্থীর শরীরে।
দ্রুত তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। পাঁচদিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর আজ বুধবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হয় তার।
কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সহিংসতায় আহত তিনজন আজ চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢামেক হাসপাতালে মারা গেছে। তারা হলো- নারায়ণগঞ্জের রিয়া গোপ, শাহজাহান ওরফে হৃদয় (২২) ও সাজেদুর রহমান ওমর (২২)।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গ সূত্র জানায়, সংঘর্ষের ঘটনায় আহত তিনজন আজ সকালে মারা গেছে। শিশু রিয়ার মাথায় গুলি লেগেছিল।
তাদের মধ্যে হৃদয় একটি কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি ছিলেন। গত শুক্রবার মহাখালী এলাকায় সংঘর্ষের সময় আহত হন।
ওমর রোববার গুলিবিদ্ধ হন যাত্রাবাড়ী এলাকায়। তিনি একটি আইটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন বলে তার ভাই সিরাজুল জানান।
মৃত শিশু রিয়ার বাবা দীপক কুমার গোপ গণমাধ্যমকে বলেন, `শুক্রবার পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। আমাদের চারতলা বাসার ছাদে আরও অনেকের সঙ্গে গিয়েছিল আমার মেয়েটা। হঠাৎ একটি গুলি এসে লাগে তার গায়ে। আজ মারা গেল আমার মেয়েটা।`