ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ বলেছেন, বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন অভূতপূর্ব। বাংলাদেশের এই উন্নয়নে মুগ্ধ ফ্রান্স।
রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে তাঁর সম্মানে প্রধানমন্ত্রীর আয়োজনে নৈশভোজে যোগ দিয়ে এ কথা বলেন তিনি।
ম্যাখোঁ আরও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশের ভূমিকা প্রশংসনীয়।
হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে রাত ১০টার দিকে নৈশভোজ শুরু হয়। তার আগে চলে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা।
এর আগে রাত ৮টার কিছু পরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান ম্যাখোঁ। বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানান শেখ হাসিনা। এরপর ফরাসি প্রেসিডেন্টকে লালগালিচা সংবর্ধনা দেয়া হয়। এ সময় দুই দেশের জাতীয় সংগীত বাজানো হয়। পরে তাঁকে গার্ড অব অনার দেয়া হয়।
দিল্লির জি-২০ সম্মেলন শেষে দুই দিনের সফরে ঢাকায় এসেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ।
৩৩ বছর পরে ফ্রান্সের কোনো প্রেসিডেন্টের এটিই প্রথম ঢাকা সফর। ১৯৯০ সালে ফ্রান্সের সাবেক প্রেসিডেন্ট মিত্রান্দের পর ম্যাখোঁই প্রথম নেতা যিনি বাংলাদেশ সফরে আসছেন। ফরাসি প্রেসিডেন্টের সফরসঙ্গী হিসেবে অন্যান্যদের মধ্যে রয়েছেন ইউরোপ ও পররাষ্ট্রবিষয়ক মন্ত্রী কেথেরিন কলোন্না।
নৈশভোজ শেষে ‘জলের গান’ ব্যান্ডের শিল্পী রাহুল আনন্দের স্টুডিও পরিদর্শন করবেন ম্যাখোঁ।
সোমবার সকালে ধানমন্ডি লেক পরিদর্শন করে ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন তিনি।
এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে বিকেলে ঢাকা ছাড়বেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট।
জানা গেছে, ম্যাখোঁর এ সফরে ফ্রান্স ও বাংলাদেশের মধ্যে দুটি দ্বিপক্ষীয় চুক্তি সই হবে। বাংলাদেশ ও ফ্রান্স জলবায়ু পরিবর্তন এবং নিয়ন্ত্রিত অভিবাসনের মতো বিষয় নিয়ে আলোচনা ছাড়াও দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোর উপায় নিয়ে আলোচনা করবে।
দ্বিতীয় স্যাটেলাইট বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হতে পারে। এর বাইরে অস্ত্র, উড়োজাহাজ ক্রয় এবং ইন্দো-প্যাসিফিক ইস্যুতে উভয় পক্ষের মধ্যে আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে।
দ্বিপক্ষীয় চুক্তি সই শেষে উভয় নেতা একটি যৌথ সংবাদ সম্মেলন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। বাংলাদেশ ও ফ্রান্স সরকারের আশা, ম্যাখোঁর এই সফরের মধ্য দিয়ে দুই দেশের মধ্যকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে।