নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় ২৩ মে হেফাজতের দেশব্যাপী বিক্ষোভ

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

মে ৩, ২০২৫, ০৩:৩১ পিএম

নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় ২৩ মে হেফাজতের দেশব্যাপী বিক্ষোভ

শনিবার (৩ মে) রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত মহাসমাবেশে উপস্থিত হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীরা। (ছবি/ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত)

নারীর ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠাসহ চার দফা দাবিতে আগামী ২৩ মে দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। শনিবার (৩ মে) রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত মহাসমাবেশে সংগঠনটির মহাসচিব সাজিদুর রহমান এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

তিনি জানান, আগামী তিন মাসের মধ্যে নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় বিভাগীয় পর্যায়ে সম্মেলন আয়োজন করা হবে। একইসঙ্গে ২৩ মে বাদ জুমা চার দফা দাবিতে সারাদেশে একযোগে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হবে।

সমাবেশে হেফাজতের নায়েবে আমির মাওলানা মাহফুজুল হক সংগঠনের ১২ দফা দাবিনামা পাঠ করেন। আর আমির মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরীর পক্ষে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন যুগ্ম মহাসচিব আজিজুল হক ইসলামাবাদী।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, দেশ বর্তমানে বহুমাত্রিক সংকটে রয়েছে। এর মধ্যে ভারতের আগ্রাসী তৎপরতা ও মানবিক করিডোরের নামে সাম্রাজ্যবাদীদের ষড়যন্ত্র বাংলাদেশকে অস্থিরতার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে জাতীয় ঐক্য আরও দৃঢ় করতে হবে। জুলাই-আগস্টের মতো ইস্পাত-কঠিন সংহতি আবার গড়ে তুলতে হবে।

নারী সংস্কার কমিশনের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনকে ‘কোরআনবিরোধী আখ্যা দিয়ে বলা হয়, এটি বিদেশি ফান্ডে পরিচালিত এক শ্রেণির নারীবাদীদের সামাজিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধ ধ্বংসের ষড়যন্ত্রের অংশ। সরকারকে হুঁশিয়ার করে বলা হয়, কোরআন-সুন্নাহ বিরোধী কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে তা মেনে নেওয়া হবে না। বিতর্কিত কমিশন বাতিল করে আলেম-ওলামাদের পরামর্শে নতুন কমিশন গঠনের আহ্বান জানানো হয়।

হেফাজত নারীর অধিকার রক্ষায় কাজ করছে দাবি করে বলা হয়, যৌতুকপ্রথা বন্ধে কঠোর আইন, শিক্ষা ও কর্মক্ষেত্রে নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। ধর্ম অবমাননার শাস্তির ধারাগুলো বিলুপ্ত করার প্রস্তাবেরও বিরোধিতা করে সেগুলো বহাল রাখার দাবি জানানো হয়। একইসঙ্গে আল্লাহ ও রাসূল (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তির বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান চাওয়া হয়।

লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, এমন একটি ন্যায়ভিত্তিক সরকারব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে, যাতে ভবিষ্যতে দেশে আর কোনো ফ্যাসিস্ট স্বৈরশাসকের উত্থান না ঘটে। যেখানে সকল ধর্ম, সম্প্রদায়ের মানুষের নিরাপত্তা ও ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত হবে, গুম-খুন, জেল-জুলুম থাকবে না, গণহত্যার বিচার হবে এবং ভারতীয় আধিপত্য ও আওয়ামী ‘ফ্যাসিবাদের দালালদেরও জবাবদিহির আওতায় আনা হবে।

মহাসমাবেশের সমাপ্তি ঘোষণা করেন আমির মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী মোনাজাতের মাধ্যমে।

এতে আরও বক্তব্য রাখেন হেফাজতের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির মাহমুদুর হাসান কাশেমী, আহমেদ কাশেমী, এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলীয় সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ এবং হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক প্রমুখ।

Link copied!