অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ আশা প্রকাশ করেছেন, বাংলাদেশ নির্ধারিত সময় অনুযায়ী ২০২৬ সালেই স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে উত্তরণে সফল হবে।
শনিবার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি নানা আলোচনা হয়েছে। “আমরা কি এলডিসি থেকে উত্তরণ করবো কি না, তা নিয়ে নানা মতামত এসেছে। কিন্তু আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি—আমরা উত্তরণ করবো এবং সে অনুযায়ী প্রস্তুতি নিচ্ছি,”—বলেন তিনি।
জাতিসংঘের উন্নয়ন নীতিমালা সংক্রান্ত কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বাংলাদেশ ২০২৬ সালের ২৪ নভেম্বর এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার কথা রয়েছে।
ইতোমধ্যে প্রধান উপদেষ্টা সংশ্লিষ্ট সব সংস্থাকে দ্রুত ও সমন্বিতভাবে প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন।
সালেহউদ্দিন বেসরকারি খাতকে এই উত্তরণ প্রক্রিয়ায় সক্রিয়ভাবে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “আমাদের দ্রুত এগোতে হবে।
অন্যান্য দেশ অনেক দূর এগিয়েছে, আমরা এক জায়গায় স্থির থাকতে পারি না।”
বাংলাদেশ ১৯৭৫ সাল থেকে এলডিসি তালিকাভুক্ত এবং ২০১৮ সালে জাতিসংঘ নির্ধারিত তিনটি সূচক—ব্যক্তিপর্যায়ে আয়, মানবসম্পদ উন্নয়ন এবং অর্থনৈতিক ঝুঁকি—পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে উত্তরণের যোগ্যতা অর্জন করে।
২০২১ সালের ২৫ নভেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনে বাংলাদেশের উত্তরণের সুপারিশ গৃহীত হয়।
এলডিসি হিসেবে বাংলাদেশ ইউরোপের বাজারে শুল্ক ও কোটামুক্ত রপ্তানির সুবিধা পেয়ে থাকে। তবে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পাওয়ার পর এসব বাণিজ্য সুবিধা ধীরে ধীরে প্রত্যাহার হয়ে যেতে পারে।