গত বছর সারাদেশে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ১০২ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। আর এ বছর শুরু হতে না হতেই যোগ হলো আরও ৪৬ নাম। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অগ্নিকাণ্ডের উৎস বিড়ি-সিগারেটের জ্বলন্ত টুকরো, বৈদ্যুতিক গোলযোগ, গ্যাসের লাইন ও চুলা।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মিডিয়া সেল থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বলা হয়, ২০২৩ সালে গড়ে প্রতিদিন ৭৭টি করে বছরে ২৭ হাজার ৬২৪ টি অগ্নিকাণ্ড ঘটে। মোট সম্পদের ক্ষতি হয় ৭৯২ কোটি ৩৬ লাখ ৮২ হাজার ১৪ টাকার।
এদিকে, গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর বেইলি রোডের ভবনটিতে আগুনের ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানায় পুলিশ।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার খ. মহিদ উদ্দিন বলেন, ভবনের নিচতলার খাবার দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত। আগুনের ঘটনায় অবহেলার কারণে মৃত্যুর অভিযোগে পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করবে। ভুক্তভোগী পরিবারের কেউ মামলা করতে চাইলে মামলা করতে পারবেন। এ ঘটনায় ইতিমধ্যে তিনজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ভবনের মালিকের দায়িত্বের কোনো অবহেলা রয়েছে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মহিদ উদ্দিন বলেন, ভবনের মালিক থেকে শুরু করে এ ঘটনায় যাঁদের দায় পাওয়া যাবে, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অন্রাযদিকে, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) জানিয়েছে, রেস্তোরাঁ করার অনুমোদন ছিল না। ভবনটি শুধু অফিসকক্ষ হিসেবে ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল।
ভবনটিতে আটটি রেস্তোরাঁ, একটি জুস বার (ফলের রস বিক্রির দোকান) ও একটি চা-কফি বিক্রির দোকান ছিল। ছিল মুঠোফোন ও ইলেকট্রনিকস সরঞ্জাম এবং পোশাক বিক্রির দোকানও।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী বলেছেন, রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কজি কটেজ ভবনটিকে আগেই অগ্নি নিরাপত্তা সংক্রান্ত নোটিশ দেওয়া হয়েছিল।
ফলে এই অগ্নিকাণ্ডের জন্য অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করছেন সংশিল্লষ্টরা।