দেশের অন্যতম শিল্পগোষ্ঠী এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন ‘এস আলম রিফাইন্ড সুগার মিলের’ পোড়া চিনি–মিশ্রিত পানি কর্ণফুলী নদীর পানিতে গিয়ে মিশছে। ফলে সেই এলাকায় নদীর পানি ধারণ করেছে কালচে বর্ণ। কারখানার আশপাশের রাস্তাঘাটে জমে আছে পোড়া চিনির পানি। পুরো এলাকায় পোড়া চিনির তীব্র গন্ধ। এতে বিষক্রিয়ায় মারা যাচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ও কাঁকড়াসহ নানা জীববৈচিত্র্য।
শুধু কর্ণফুলী নদীতেই ফেলা হচ্ছে না চিনি মিলের পোড়া বর্জ্য। কারখানার আশপাশের কয়েক কিলোমিটার এলাকায়ও যত্রতত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে ফেলা হচ্ছে। এতে বিপাকে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
দুুপুর ১২টার দিকে এস আলম সুগার মিলের সামনের রাস্তায় চলাচলরত শিক্ষার্থীদের সমস্যা পোহাতে দেখা যায়। মিল থেকে পোড়া বর্জ্য ট্রাকে করে ফেলা হচ্ছে রাস্তার পাশে ও খোলা জমিতে।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, বেশিমাত্রায় পোড়া চিনি নদীতে মিশে গেলে দীর্ঘমেয়াদে এর প্রভাব পড়তে পারে। সে কারণে পোড়া বর্জ্যগুলো সরাসরি নদীতে পড়া ঠেকানো দরকার।
তবে এস আলম গ্রুপের কর্মকর্তারা বলছেন, অপরিশোধিত চিনির বর্জ্যে পরিবেশের ‘কোনো ক্ষতি হবে না।’
প্রসঙ্গত, গত ৫ মার্চ বিকেল ৩টায় চট্টগ্রামের কর্ণফুলীর ইছানগরে কারখানার একটি গুদামে আগুন লাগে। এই ঘটনার ৩০ ঘণ্টা পার হলেও আগুন পুরোপুরি নেভানো যায়নি।