আগস্ট ৩০, ২০২৩, ০৩:৪৭ পিএম
শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আদালতে চলা মামলা প্রত্যাহারের জন্য ইউনূসের পাশে দাঁড়াতে এবার বিশ্ব নেতাদের এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে ১০০ জন নোবেল বিজয়ীসহ ১৬০ বিদেশি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান খোলা চিঠি দেওয়ার পর এবার এব্যাপারে সোচ্চার হলেন সাবেক এই মার্কিন ফার্স্টলেডি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ (সাবেক টুইটার) এক বার্তায় ইউনুসকে করা হয়রানি রুখে দিতে বিশ্বকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান হিলারি ক্লিনটন। এতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পাঠানো ১৬০টির বেশি বিশ্বনেতার ওই বিবৃতিটি সংযুক্ত করেন তিনি।
এর আগে,ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ওপর ‘অত্যাচার’ বন্ধের দাবি জানান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডির ভাতিজি ও প্রয়াত সিনেটর সাবেক সিনেটর রবার্ট এফ কেনেডির মেয়ে কেরি কেনেডি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে এক পোস্টে যুক্তরাষ্ট্রের বিশিষ্ট আইনজীবী, লেখক ও মানবাধিকারকর্মী এবং বিশ্বখ্যাত মানবাধিকারবিষয়ক সংগঠন রবার্ট এফ কেনেডি হিউম্যান রাইটসের প্রেসিডেন্ট এ দাবি জানান।
ড. ইউনূসকে নিজের প্রিয় বন্ধু সম্বোধন করে কেরি কেনেডি লেখেন- ‘আমার প্রিয় বন্ধু এবং নোবেল বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের ওপর অত্যাচার বন্ধ করতে হবে! আমিসহ ১৬০ জনের বেশি বিশ্বনেতা (তার প্রতি) ন্যায়বিচারের জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।’
প্রসঙ্গত, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি বাংলাদেশ সরকারের আচরণের বিষয়ে গভীর উদ্বেগ জানিয়ে চলতি বছরের মার্চ মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে খোলাচিঠি লিখেছিলেন যুক্তাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন, সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট আল গোর, জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুন, প্রয়াত মার্কিন সিনেটর এডওয়ার্ড এম কেনেডির ছেলে টেড কেনেডি জুনিয়রের মতো আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ব্যক্তিত্বরা।
এরই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে খোলাচিঠি দেন ১০০ জন নোবেল বিজয়ীসহ ১৬০ বিদেশি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান।
চিঠিতে বলা হয়, নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের মামলা মানবাধিকারের প্রতি হুমকি। আমাদের মনে হচ্ছে তাঁকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। এটা ক্রমাগত বিচারিক হয়রানি বলেই আমাদের বিশ্বাস। আমরা বিনীতভাবে অনুরোধ করছি, আপনি (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) অবিলম্বে অধ্যাপক ইউনূসের বিরুদ্ধে বর্তমান বিচারিক কার্যক্রম স্থগিত করুন।