সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৩, ১২:১৮ পিএম
বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া দুর্বল ও বাধাগ্রস্থ করার কাজে দায়ী কিংবা জড়িত যেকোনো বাংলাদেশির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দেবে বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন ম্যাথিউ মিলার।
মিলার বলেন, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ক্ষুণ্ন হয় এমন ঘটনার সঙ্গে জড়িত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, সরকার ও বিরোধীদলীয় ব্যক্তিদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ হবে। এ ছাড়াও নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে, এমন যে কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়ার সুযোগ রয়েছে।
ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন দূত পিটার হাসের নিরাপত্তার বিষয়টিও উঠে আসে। এ বিষয়ে মিলার বলেন, মার্কিন কর্মকর্তাদের নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখে তার সরকার। বাংলাদেশ সরকারই মার্কিন দূতের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন মিলার।
জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, আমি এখন নির্দিষ্ট কোনো পদক্ষেপ ঘোষণা করতে যাচ্ছি না। তবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেনের ঘোষণা অনুসারে বাংলাদেশে অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্থ করার কাজে দায়ী কিংবা জড়িত থাকার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, সরকার এবং রাজনৈতিক বিরোধীদের ওপর ভিসানীতি কার্যকর করার পদক্ষেপ আমরা শুরু করেছি।
তিনি আরও বলেন, গত ২৪ মে ভিসানীতি ঘোষণার সময় আমরা এটা স্পষ্ট করে বলে দিয়েছি। আমরা ভিসানীতির কথা বলেছি তবে কারও নাম উল্লেখ করিনি। বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া দুর্বল ও বাধাগ্রস্থ করার কাজে দায়ী কিংবা জড়িত যেকোনো বাংলাদেশির ক্ষেত্রে এই ভিসানীতি কার্যকর হবে। অন্য যেকোনো ব্যক্তির ক্ষেত্রে যদি আমরা মনে করি, তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা প্রয়োজন, সেক্ষেত্রে আমরা এই নীতি প্রয়োগ করব।
বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত গত ২৪ সেপ্টেম্বর একটি বেসরকারি টেলিভিশনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানান, বাংলাদেশে নতুন ভিসা বিধিনিষেধে সাংবাদিক তথা মিডিয়া ব্যক্তিত্বদের অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
ঠিক কতজনের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে, সেই প্রশ্নে পিটার হাস বলেন, কতজনের ওপর দেওয়া হয়েছে সেটি গুরুত্বপূর্ণ নয়। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থেই ভিসা নিষেধাজ্ঞা।