এপ্রিল ১০, ২০২৫, ০১:৪৩ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
ভারতের বন্দর ব্যবহার করে বাংলাদেশের পণ্য তৃতীয় কোনো দেশে ট্রান্সশিপমেন্টের সুবিধা বাতিলের পর প্রথমবারের মতো চার ট্রাক রপ্তানি পণ্য ফেরত পাঠিয়েছে পেট্রাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষ।
বুধবার সন্ধ্যায় বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে যাওয়া এসব পণ্যবাহী ট্রাক ভারতের স্থলবন্দরের গেইট থেকেই ফেরত পাঠানো হয়েছে বলে জানান বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবির তরফদার।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বলেন, “পণ্যবাহী ট্রাকগুলো ঢাকার রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ডিএসভি এয়ার অ্যান্ড সি লিমিটেডের ছিল। ট্রাকগুলোয় তৈরি পোশাক পণ্য ছিল, যা স্পেনে রপ্তানি করা হচ্ছিল।” খবর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।
পেট্রাপোল বন্দর থেকে ফেরত আসার পরে রপ্তানিকৃত পণ্য বোঝাই ট্রাক চারটি ঢাকায় ফেরত যায় বলেও জানান তিনি।
ভারতের ভূখণ্ড ব্যবহার করে বাংলাদেশের পণ্য তৃতীয় কোনও দেশে যাওয়ার জন্য ২০২০ সালের ২৯ জুন একটি চুক্তি হয়েছিল। তাতে বাংলাদেশ থেকে রপ্তানি পণ্য কনটেইনার বা কভার্ড ভ্যানের মাধ্যমে তৃতীয় দেশে পাঠানোর ক্ষেত্রে ভারতের স্থল শুল্ক স্টেশন থেকে দেশটির অন্য কোনো বন্দর বা বিমানবন্দর পর্যন্ত ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল।
তবে মঙ্গলবার ভারতের সেন্ট্রাল বোর্ড অব ইনডাইরেক্ট ট্যাক্সেস অ্যান্ড কাস্টমস (সিবিআইসি) এক প্রজ্ঞাপনে ২০২০ সালের ২৯ জুনের সার্কুলারটি ‘অবিলম্বে’ বাতিল করার কথা বলা হয়েছে।
নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে, বর্তমানে ট্রানজিটে থাকা বাংলাদেশি পণ্য বিদ্যমান প্রক্রিয়ার আওতায় ভারত ছাড়তে পারবে, তবে নতুনভাবে কোনো পণ্যের চালান ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা পাবে না।
হঠাৎ করে বুধবার ভারত বলেছে, যেসব পণ্যবোঝাই ট্রাক ইতিমধ্যে ভারতের ভূখণ্ডে আছে, সেগুলোকেও দ্রুত ভারতের ভূখণ্ড ত্যাগ করতে হবে।
ভারতের এই সিদ্ধান্তের ফলে দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ অন্যান্য বন্দরের মাধ্যমে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক অন্য দেশে রপ্তানির বিষয়টিও বাধাগ্রস্ত হবে।
ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী বলেন, “স্থলবন্দর দিয়ে ট্রানজিট সুবিধা বাতিল করে কাস্টমসে একটি চিঠি ইস্যু করেছে ভারতের অর্থ মন্ত্রণালয়। এ চিঠির আলোকে ট্রানজিট সুবিধার পণ্য বেনাপোল বন্দর থেকে পেট্রাপোল বন্দরে প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়েছে।”
বেনাপোল স্থলবন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবির তরফদার বলেন, “ট্রানজিট সুবিধা বাতিল করায় পেট্রাপোল কাস্টমস থার্ডকান্ট্রির কোনো পণ্যে কার্পাস ইস্যু করেনি। ফলে গতকাল (মঙ্লবার) তৃতীয় কোনো দেশে রপ্তানির জন্য আনা চার ট্রাক পণ্য তারা রিসিভ করেনি।”