আগস্ট ৯, ২০২৪, ০৬:৪৬ পিএম
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও জনগণকে যেকোনও সহযোগিতায় প্রস্তুত আছে জাতিসংঘ। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে সংস্থাটির সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান জাতিসংঘ মহাসচিবের উপমুখপাত্র ফারহান হক।
দেশটির স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত ব্রিফিংয়ে ফারহান হককে জাতিসংঘ মহাসচিব বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অভিনন্দন জানিয়েছেন কি না বা তার সঙ্গে কথা বলেছেন কি না- এক সাংবাদিকের এ সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে জাতিসংঘ মহাসচিবের উপ-মুখপাত্র জানান, তিনি (জাতিসংঘ মহাসচিব) তার সঙ্গে (ড. ইউনূস) কথা বলেননি। তবে বাংলাদেশে নিযুক্ত আবাসিক সমন্বয়ক আজকের (বৃহস্পতিবার) শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন। ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া যেন শান্তিপূর্ণ হয়, সেটা নিশ্চিতে তিনি এবং কান্ট্রি টিম সক্রিয় রয়েছে।
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূস গতকালই শপথ নিয়েছেন। সেটা নিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিবের কোনও বক্তব্য আছে কি না- ব্রিফিংয়ে সেই প্রশ্নও করা হয়।
জবাবে উপ-মুখপাত্র বলেন, “আপনারা শুনেছেন যে অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রক্রিয়ায় সরকার গঠনের প্রত্যাশার কথা আমরা বলে আসছি। আমরা নিশ্চিতভাবেই সেই প্রত্যাশা করে যাবো। বাংলাদেশে সহিংসতা কমে আসা ও জনসাধারণের কাছ থেকে বেশি মাত্রায় সংযত আচরণ ভালো উপসর্গ।”
বাংলাদেশে গত কয়েক সপ্তাহে সরকার পতনের আন্দোলন চলাকালে কয়েক শ’ লোক নিহতের ঘটনা তদন্তে জাতিসংঘের সম্পৃক্ততা চাওয়া হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন ব্রিফিংয়ে উপস্থিত থাকা অন্য এক সাংবাদিক। এ ব্যাপারে জাতিসংঘের বক্তব্য জানতে চাইলে ফারহান হক বলেন, “বাংলাদেশের নতুন সরকারের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতিসংঘকে কী ধরনের অনুরোধ জানানো হয়, সেটা আমরা পর্যবেক্ষণ করবো। বাংলাদেশের সরকার ও জনগণ যে ধরনের সহযোগিতা প্রয়োজন বলে মনে করবে, আমরা অবশ্যই যেকোনও উপায়ে তাদের সহযোগিতায় প্রস্তুত আছি।”
আরও পড়ুন: নিরাপত্তার জন্য ড. ইউনূসকে খোলা চিঠি দিলেন সংখ্যালঘুরা
বাংলাদেশে হিন্দুসহ অন্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের হামলা নিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিবের কোনও প্রতিক্রিয়া বা বক্তব্য আছে কি না- এ-সংক্রান্ত প্রশ্নে জবাবে তিনি বলেন, “আমরা স্পষ্ট করে বলেছি যে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে বাংলাদেশে যেসব সহিংসতা হচ্ছে, সেটা প্রশমন করা হোক, সেটা আমরা নিশ্চিত করতে চাই। নিশ্চিতভাবেই যেকোনও ধরনের বর্ণবাদী আক্রমণ বা বর্ণভিত্তিক সহিংসতায় উসকানির বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান।”