আগস্ট ৩০, ২০২৫, ০৩:৩৫ পিএম
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা ঘোষণা করেছেন, তারা গত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দায়িত্ব গ্রহণ করবেন না। ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনের দায়িত্বে তারা ছিলেন না। এই বক্তব্য শনিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত উপজেলা, থানা ও সমমান নির্বাচন কর্মকর্তাদের সাধারণ সভায় জানানো হয়।
অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক আশফাকুর রহমান বলেন, নির্বাচনে যথাযথভাবে কাজ করতে না পারায় কর্মকর্তাদের মধ্যেও ক্ষোভ রয়েছে। “আমরা কখনোই ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে মূল দায়িত্বে ছিলাম না। তাই আমরা কেন এর দায় গ্রহণ করব?” তিনি প্রশ্ন করেন।
তিনি আরও বলেন, “আমরা কমিশনের মাধ্যমে জনগণকে জানাতে চাই, আমাদের যথাযথ ক্ষমতা দেওয়া হলে আমরা দায়িত্ব পালন করব। কিন্তু আমাদের কাজ করার পূর্ণ অধিকার না দিলে দায়িত্ব আমাদের ওপর নেই।”
আশফাকুর রহমান নির্বাচনের ক্ষেত্রে উপজেলা নির্বাচন অফিসের কেন্দ্রীয় ভূমিকায় জোর দিয়ে বলেন, “উপজেলা পর্যায়ে আমরা সকল ধরনের কাজ সম্পন্ন করি। আমরা রোবট নই। তবুও সমস্ত দায়িত্ব আমাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়। বছরের পর বছর আমরা বঞ্চিত হয়েছি।”
তিনি নির্বাচন কমিশন সংশোধন কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী দ্রুত নির্বাচন কমিশন সংশোধন অধ্যাদেশ ২০২৫ জারি এবং নির্বাচন সার্ভিস কমিশন গঠনের আহ্বান জানান। এছাড়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার পদ ৬ষ্ঠ গ্রেডে, সহকারী কর্মকর্তাদের পদ ৯ম গ্রেডে উন্নীত, উপজেলা কর্মকর্তাদের জন্য ডাবল কেবিন গাড়ি এবং সহকারী কর্মকর্তাদের জন্য মোটরসাইকেল প্রদানের দাবি জানান।
এছাড়া জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে স্থানান্তরের আইন বাতিলের দাবি জানিয়ে তিনি এটিকে “ফ্যাসিস্ট সরকারের কালো আইন” আখ্যায়িত করেন।
আশফাকুর রহমান বলেন, “আমরা একটি সুষ্ঠু, সুন্দর ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই। আশা করি নির্বাচন কমিশন আমাদের প্রয়োজন বুঝে সহযোগিতা করবে, যাতে আমরা ঠিকভাবে নির্বাচন আয়োজন করতে পারি।”
সভায় অ্যাসোসিয়েশন সচিব মো. ইউসুফ-উর রহমানও স্বাগত বক্তব্য রাখেন।