এপ্রিল ৩, ২০২৪, ১০:৫৫ পিএম
সমতলেও যেমন নববর্ষের বর্ণাঢ্য উৎসব হয়, পাহাড়ও তার ব্যতিক্রম নয়। সবখানে নববর্ষের উৎসব হয় জাঁকালো। রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে পাহাড় আর গহিন অরণ্য, সে অরণ্য-পাহাড়ে বাস করা মানুষ এবং তাদের বর্ণাঢ্য সংস্কৃতি মিলেই পার্বত্য অঞ্চলের সৌন্দর্য। সেই সৌন্দর্যের মুকুটে রঙিন পালক বৈসাবি।
নতুন বছরকে বরণ করতে মেলার মধ্য দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত জাতিগোষ্ঠীর এবারের বৈসাবি উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। আজ বুধবার থেকে চার দিনব্যাপী হবে ঐতিহ্যবাহী বৈসাবি মেলা।
এ উপলক্ষে বুধবার বিকালে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের উদ্যোগে বর্ণিল সাজে বের করা হয় শোভাযাত্রা।
শোভাযাত্রাটি রাঙামাটি সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে ফিতা কেটে চার দিনব্যাপী আয়োজিত মেলার উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান। এরপর উপস্থিত অতিথিরা বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের পর ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সম্প্রীতি নৃত্য পরিবেশন করা হয়।
পার্বত্য জনপদের পুরনো বছরকে বিদায় ও নতুন বছরকে বরণের উৎসব জাতিগোষ্ঠিগুলো ভিন্ন ভিন্ন নামে উদযাপন করে থাকে। উৎসবকে ত্রিপুরারা বৈসু, মারমারা সাংগ্রাই ও চাকমারা বিজু বলে অভিহিত করে থাকে। এই তিন নামের আদ্যাক্ষর নিয়ে বৈসাবি নামের উৎপত্তি। এই আয়োজন মূলত অনুষ্ঠিত হবে ১২, ১৩ ও ১৪ এপ্রিল।
১২ এপ্রিল ফুলবিজু, ১৩ এপ্রিল মূল বিজু বা খাওয়া-দাওয়া পর্ব এবং ১৪ এপ্রিল গইজ্যাপইজ্যা দিন বা বিশ্রামের দিন।
উৎসবকে ঘিরে জেলায় বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে পালিত হচ্ছে নানান কর্মসূচি। তারই অংশ হিসেবে শোভাযাত্রা, মেলা, ও সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।