মার্চ ২১, ২০২৪, ০৩:২৩ পিএম
বিদেশিরা বাংলাদেশে এসে আমাদের লক্কড়-ঝক্কড় বাস দেখে, তখন আমাদের খুব লজ্জা হয়। পরিবহন মালিকদের এদিকে নজর দেওয়ার আহ্বান করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) দুপুরে বনানীতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) কার্যালয়ে পবিত্র ঈদুল ফিতর ২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে সড়কপথে যাত্রীসাধারণের যাতায়াত নির্বিঘ্ন ও নিরাপদ করার লক্ষ্যে আয়োজিত প্রস্তুতিমূলক সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি। এ সময় এসব লক্কড়-ঝক্কড় বাস প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নকে প্রশ্নবিদ্ধ করে বলেও মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘পরিবহন মালিক সমিতির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, ঢাকার বাইরে থেকে ফিটনেসবিহীন গাড়ি ঢাকায় ঢোকে। আমি তো বলবো, বাইরে থেকে সিটিতে লক্কড়-ঝক্কড় গাড়ি কম আসে। বরং সিটিতেই অনেক লক্কড়-ঝক্কড় বাসের কারখানা আছে। আমি সেগুলো নিজের চোখে গিয়ে দেখেছি। ঈদের আগে সেগুলোতে রং লাগাতে দেখেছি, যে রং আবার ১০ দিনও থাকে না।’
সড়কে চাঁদাবাজির বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘চাঁদাবাজি অতিরিক্ত বাড়ার বিষয়টা আমাদের মনিটরিংয়ে আছে। চাঁদাবাজি বন্ধ করতে পারবেন? হয়তো নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। করাপশন (দুর্নীতি) কোথায় হচ্ছে না। আমেরিকাতেও (যুক্তরাষ্ট্র) হচ্ছে না! চাঁদাবাজি এমন জায়গায় গিয়ে পড়েছে যে, আজ প্রধানমন্ত্রীকেও এই নিয়ে বলতে হচ্ছে। কারণ এটার ইমপ্যাক্ট দ্রব্যমূল্যেও গিয়ে পড়ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এবারের ঈদে যানজটের জন্য মহাসড়কগুলোর সম্ভাব্য ১৫৫ স্পট চিহ্নিত করা হয়েছে। ঈদের আগের তিনদিন ও পরের তিনদিন মহাসড়কে ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান ও লরি চলাচল বন্ধ রাখা হবে। জাতীয় মহাসড়কে ঈদের আগে ও পরের তিনদিন সংস্কার কাজ বন্ধ রাখা হবে।’
তিন চাকার পর মহাসড়কে সবচেয়ে বড় উপদ্রব মোটরসাইকেল উল্লেখ করে এই মন্ত্রী বলেন, ‘এই নিয়ে নীতিমালা বাস্তবায়ন হচ্ছে না। হাইওয়ে পুলিশের ক্ষমতা আরও বাড়াতে হবে। পাশাপাশি বিআরটিএ’র সক্ষমতা বাড়াতে হবে। না হলে যত সিদ্ধান্তই নেওয়া হোক কোনো কাজে আসবে না।’
সেই সঙ্গে তৈরি পোশাক শিল্প কারখানাগুলো পর্যায়ক্রমে বন্ধ রাখতেও আহ্বান জানান সেতুমন্ত্রী।