জাতীয় ভোক্তা অধিকার ও সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানের ভয়ে দোকান ছেড়ে পালিয়েছে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কৃষি মার্কেটের কয়েকজন দোকানদার। ওইসব দোকানে চালের অবৈধ মজুদদারের বিরুদ্ধে অভিযানে যান অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। অনেকগুলো দোকানে গিয়ে মালিক বা বিক্রয়কর্মীকে পাওয়া যায়নি।
শুক্রবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত অভিযান চলে। এ সময় মোট চারটি দোকানে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযানের নেতৃত্ব দেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিকাশ চন্দ্র দাস। তিনি বলেন, বেশিরভাগ দোকানে মূল্যতালিকার হালনাগাদ তথ্য ছিলো না।
অধিদপ্তরের কর্মকর্তা বলেন, মিল মালিক ও আড়তদারদের যোগসাজশের কারণেই চালের দাম বেড়েছে-এমন প্রমাণ পাওয়া গেছে সাম্প্রতিক অভিযান গুলোতে।
তিনি বলেন, অভিযানের ভয়ে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা প্রায়ই ঘটে এগুলো প্রায় ঘটে থাকে। দেখা যায় আমরা একটা দোকানে অভিযান পরিচালনা করেছি, অন্যরা দোকান ছেড় পালিয়ে গেছে। আজও অনেক চাল ব্যবসায়ী পালিয়েছে। আমরা নানাভাবে তাদেরকে সর্তক করছি। পবর্তীতে অভিযানে এসে পালিয়ে যাওয়া দোকান দিয়ে অভিযান শুরু করব। কাউকে পালিয়ে থাকার সুযোগ নেই। গুরুতর অভিযোগ পেলে মামলা ও লাইসেন্স বাতিল করা হবে বলেও জানায় ভোক্তা অধিকার।
অভিযান পরিচালনা শুরু হলে দোকান রেখে পালিয়ে যান ব্যবসায়ী জাফর। তিনি বলেন, দোকানে থাকব কীভাবে? খুব ছোট ছোট বিষয় নিয়ে ৫০-৬০ হাজার টাকা জরিমানা করে। একজন ব্যবসায়ী একদিনে কত টাকা আয় করে যে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়? ম্যাজিস্ট্রেট খোদার মত। কোনটা তার কাছে অপরাধ হয়ে যায় তা আমরা জানি না। যে কোনো একটা বিষয় অপরাধ বানিয়ে আমাদের জরিমানা করে দেয়। এজন্য দোকানে না থাকায় ভালো।
তিনি বলেন, সরকারি হিসাব অনুযায়ী লাইসেন্স করতে ২ হাজার টাকা লাগার কথা। কিন্তু আমাদের করতে লাগে ৫ হাজার টাকা। তারপর মাসের পর মাস ঘুরতে হয়। আর এই লাইসেন্স দেখাতে না পারলেও জরিমানা করে।
আরেক ব্যবসায়ী গোলাম মোস্তফা বলেন, মুদিদোকানে অসংখ্য পলিথিন ব্যহৃত হচ্ছে। কিন্তু দেখা যায় আমরা পলিথিন ৫ কেজি চাল প্যাকেট করে রেখেছি, এজন্যও জরিমানা করে বসেন। এটা নাকি নিষিদ্ধ, অথচ সবাই ব্যবহার করছে। আবার দেখা যায় দোকান ঝাড়ু দিয়ে ময়লা এক জায়গায় রেখেছি, এজন্যও জরিমানা করে।