এপ্রিল ১৩, ২০২১, ০৮:২৯ পিএম
করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশব্যাপী টিকাদান কর্মসূচির পর অর্ধকোটিরও বেশি মানুষকে টিকা দেয়া হয়েছে। এবং পর্যায়ক্রমে সবাই এই টিকা পাবেন বলে দেশবাসীকে আশ্বস্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘দেশের ৫৬ লাখের বেশি মানুষকে করোনাভাইরাসের টিকার প্রথম ডোজ দেয়া হয়েছে। যারা প্রথম ডোজ নিয়েছেন তাদের দ্বিতীয় ডোজ দেয়াও শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে দেশের সবাইকে টিকার আওতায় নিয়ে আসা হবে। আমাদের সে প্রস্তুতি রয়েছে।’
মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) সন্ধ্যা সোয়া ৭টায় বাংলা নববর্ষ-১৪২৮ উপলক্ষে জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর এ ভাষণ বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেল ও বেতারে সম্প্রচার করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রাজধানীসহ দেশের প্রতিটি জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর জন্য চিকিৎসা সুবিধা আরো বৃদ্ধি করা হচ্ছে। এরই মধ্যে বিশেষায়িত সরকারি হাসপাতালগুলোতে নিরবচ্ছিন্ন অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। বিদ্যমান আইসিইউ সুবিধা আরো বৃদ্ধি করা হচ্ছে।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘টিকা নিলেই একজন সম্পূর্ণভাবে সুরক্ষিত- এমন নিশ্চয়তা নেই বলে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন। কাজেই টিকা নেয়ার পরও আমাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।’
সরকার প্রধান বলেন, ‘আমাদের সবাইকে সাবধান হতে হবে। আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব নিজের, পরিবারের এবং প্রতিবেশীর সুরক্ষা প্রদান করা। কাজেই ভিড় এড়িয়ে চলুন। বাইরে বের হলে মাস্ক ব্যবহার করুন। ঘরে ফিরে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হয়ে গরম পানির ভাপ নিন। আমরা যদি সবাই করোনাভাইরাস মোকাবিলার স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি, অবশ্যই এই মহামারিকে আমরা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হবো, ইনশাআল্লাহ।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আপনাদের শঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। সরকার সব সময় আপনাদের পাশে আছে। দ্বিতীয় ঢেউ আঘাত হানার পর আমি দরিদ্র ও নিম্নবিত্ত মানুষদের সহায়তার জন্য কার্যক্রম গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছি। আমরা এরই মধ্যে পল্লী অঞ্চলে কর্মসৃজনের জন্য ৮০৭ কোটি ৬৫ লাখ টাকা এবং পবিত্র রমজান ও আসছে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ৬৭২ কোটিরও বেশি টাকা বরাদ্দ দিয়েছি। এর মাধ্যমে দেশের প্রায় ১ কোটি ২৪ লাখ ৪২ হাজার নিম্নবিত্ত পরিবার উপকৃত হবে।’
দেশ-বিদেশে যে যেখানেই আছেন সবাইকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, পহেলা বৈশাখের বর্ষবরণ বাঙালির সর্বজনীন উৎসব। আবহমানকাল ধরে বাংলার গ্রাম-গঞ্জে, আনাচে-কানাচে এই উৎসব পালিত হয়ে আসছে। একই সঙ্গে শুরু হয়েছে মুসলমানদের পবিত্র সিয়াম সাধনার মাস মাহে রমজান। আমি সব ধর্মপ্রাণ মুসলমানকে পবিত্র মাহে রমজানের মোবারকবাদ জানাচ্ছি।