ডিসেম্বর ২৮, ২০২১, ০২:৪৫ এএম
হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের ভেতর থেকে এবার একজন আসামির স্বীকারোক্তিতে ১৫টি গ্রেনেড, ২৫টি বোস্টার ও ৫১০টি গুলি উদ্ধার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট।
সিটিটিসি ইউনিট আজ (২৭ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টায় চুনারুঘাট থানায় সংবাদমাধ্যমকে এসব তথ্য জানান সিটিটিসি ইউনিটের প্রধান মো. আসাদুজ্জামান। এর আগে একই স্থান থেকে র্যাব ও বিজিবি বিপুল পরিমাণ গোলাবারুদ উদ্ধার করে।
মো. আসাজাদুজ্জামান বলেন, পুলিশ গতকাল রবিবার রাতে ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে ১টি পিস্তল ও ৪টি গুলিসহ অমিত ত্রিপুরা (২৫) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে। তার বাড়ি খাগড়াছড়ির পানছড়িতে। পুলিশকে তিনি জানান, তার কাছে থাকা অস্ত্র ছাড়া আরও বিপুলসংখ্যক অস্ত্র মজুত আছে।
তিনি জানান, এ অস্ত্রগুলো হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের গহিনে লুকিয়ে রাখা হয়েছে। অমিতের এ স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ডিএমপির সিটিটিসি ইউনিট আজ সোমবার ভোর থেকে সাতছড়িতে এক অভিযান চালায়। তাদের সঙ্গে ছিলেন ঢাকায় গ্রেপ্তার হওয়া অমিত ত্রিপুরা। আসাদুজ্জামান বলেন, ভোর থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত টানা ১০ ঘণ্টা অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ অভিযানকালে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের ভেতরে ঢাকা—সিলেট পুরাতন মহাসড়ক থেকে প্রায় এক কিলোমিটার বনের ভেতরে দুটি স্থানে মাটি খুঁড়ে কিছু অস্ত্র উদ্ধারের আলামত দেখতে পান। চিহ্নিত গর্ত খুঁড়ে ১৫টি গ্রেনেড, ২৫টি বোস্টার ও ৫১০টি গুলি উদ্ধার করা হয়।
আজ সকালে সাতছড়ি গিয়ে দেখা যায়, পুরো উদ্যান এলাকাটি ঘিরে রাখে সিটিটিসি ইউনিট। খবর পেয়ে সকাল থেকে গণমাধ্যমকর্মীরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। তবে কাউকে বনের ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। অপেক্ষার পর দুপুরে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয় অস্ত্র উদ্ধারকাজ শেষ হলে গণমাধ্যমে বিস্তারিত জানানো হবে।
বেলা ৩টার দিকে সিটিটিসি ইউনিটের সদস্যরা বনের ভেতর থেকে উদ্ধার করা অস্ত্রগুলো তাদের গাড়িতে ওঠান। এ সময় অভিযানের বিস্তারিত জানাতে গণমাধ্যমকর্মীদের চুনারুঘাট থানায় উপস্থিত থাকতে বলা হয়। এ অস্ত্র উদ্ধারের পর গণমাধ্যমকর্মীরা বনের ভেতরে প্রবেশ করতে চাইলেও কাউকে প্রবেশের সুযোগ দেওয়া হয়নি।