ইভ্যালি, ধামাকাসহ চার ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের সদস্যপদ স্থগিত করেছে ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব)।
বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ইক্যাব। সদস্যপদ স্থগিত হওয়া অন্য দুটি প্রতিষ্ঠান হচ্ছে সিরাজগঞ্জ শপ ডটকম ও গ্লিটার্সআরএসটি ওয়ার্ল্ড।
একই সঙ্গে ভোক্তা ও বিক্রেতার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ১৬টি প্রতিষ্ঠানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ই-ক্যাবের সদস্য প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কয়েকটির নামে বিভিন্ন ধরনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ই-ক্যাব অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়। ভোক্তা ও বিক্রেতাদের করা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ১৬ প্রতিষ্ঠানকে ভিন্ন ভিন্ন অভিযোগে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেছে। এর মধ্যে অভিযোগের বিষয়ে জবাব না দেওয়া, অথবা সন্তোষজনক জবাব না দেওয়ার কারণে চারটি প্রতিষ্ঠানের সদস্যপদ স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করা হয়েছে, সেগুলো হলো—অর্থ আত্মসাৎ, ক্রেতা ও সরবরাহকারীদের অভিযোগ নিষ্পত্তি না করা, ই-ক্যাবের কারণ দর্শানো ও সতর্কীকরণ পত্রের জবাব না দেওয়া, ই-ক্যাবের পাঠানো অভিযোগের সমাধান না করা, ‘ডিজিটাল কমার্স নির্দেশিকা ২০২১’ প্রতিপালন না করা এবং এমএলএম ব্যবসা পরিচালনা করা।
এতে বলা হয়েছে, অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানের মধ্যে নয়টি প্রতিষ্ঠানের কেউ কেউ তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করেছে। কেউ কেউ অভিযোগ নিষ্পত্তি এবং ডিজিটাল কমার্স পরিচালনা নির্দেশিকা-২০২১ মেনে চলার প্রতিশ্রুতিসহ সময় চেয়েছে। তাই, নয়টি প্রতিষ্ঠানকে পর্যবেক্ষণে রেখে অধিকতর তদন্ত চলছে। সন্তোষজনক সমাধান না হলে তাদের বিষয়ে অনুরূপ সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।
এ ছাড়া ই-ক্যাব জানিয়েছে, ক্রেতা-ভোক্তারা কোনো প্রতিষ্ঠান দ্বারা প্রতারিত হয়ে থাকলে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযোগ করতে পারেন।
সংগঠনটি জানিয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ, বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনসহ বিভিন্ন সরকারি তদন্ত সংস্থাকে ই-ক্যাব অব্যাহতভাবে সহযোগিতা করে আসছে।
অস্বাভাবিক অফার বন্ধ করা, সময়মতো পণ্য ডেলিভারি করা, ব্যাংক ডিপোজিটের মাধ্যমে টাকা গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকা, ‘ডিজিটাল কমার্স পরিচালনা নির্দেশিকা ২০২১’ প্রতিপালন, দেশের প্রচলিত আইন মেনে চলা, ভোক্তা অধিকারে আসা অভিযোগ দ্রুত সমাধান ও ই-ক্যাবের অভিযোগের সমাধান করে প্রতিবেদন পেশ করতে সদস্য প্রতিষ্ঠানসমূহকে নির্দেশনা দিয়েছে ই-কমার্সভিত্তিক এই সংগঠনটি।
সদস্যপদ স্থগিতের কারণে প্রতিষ্ঠানগুলো ১০ হাজার ডলার বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় করতে পারবে না, যা ইক্যাবের সদস্যরা পারে। এ ছাড়া জোটবদ্ধ অন্য সুবিধাগুলো থেকে বঞ্চিত হবে তারা।