উৎসবমুখর পরিবেশে পালিত হচ্ছে বড়দিন

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

ডিসেম্বর ২৫, ২০২১, ০৯:২৬ এএম

উৎসবমুখর পরিবেশে পালিত হচ্ছে বড়দিন

যথাযোগ্য ভাবগাম্ভীর্য ও ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতায় বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও বড়দিন উদযাপন করছেন খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীরা।দিবসটি পালন উপলক্ষে ক্রিসমাস ট্রি সাজানোসহ গির্জায় গির্জায় ফুলের সাজসজ্জা, আলোকমালাসহ নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। আয়োজন করা হয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও।

দুই হাজার বছর আগে এ শুভ দিনেই খ্রিষ্ট ধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিষ্ট জন্মগ্রহণ করেন। মানবজাতিকে সত্য, সুন্দর ও ন্যায়ের পথে পরিচালিত করতে যিশুর জন্ম হয় বলে খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করেন।

বেথেলহেমের এক গোয়ালঘরে কুমারী মাতা মেরির গর্ভে জন্মগ্রহণ করা শিশুটির নাম রাখা হয় যিশাস। বাংলায় বলা হয় ‘যিশু’। শিশুটি কোনো সাধারণ শিশু ছিল না। যিশু নামের সেই শিশুটি বড় হয়ে পাপের শৃঙ্খলে আবদ্ধ মানুষকে মুক্তির বাণী শোনান। তাই তার জন্মদিনটিকে ধর্মীয় নানা আচার ও উৎসবের মধ্য দিয়ে উদযাপন করেন তারা। এটি তাদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব।

বিশ্বের নানা দেশের মতো বাংলাদেশের খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ও পালন করছে এ উৎসব। করোনা পরিস্থিতির কারণে গত বছর বড়দিন উৎসব উদযাপন অনেকটা অনাড়ম্বরভাবে হয়েছিল। তবে এবার বড়দিনের আয়োজনে চাকচিক্য কিছুটা বেড়েছে।

খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের ধর্মীয় নেতারা জানান, ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালনের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মানার নির্দেশনা দেওয়ায় বড়দিন উপলক্ষে গির্জার বাইরে কোনো আনুষ্ঠানিকতা রাখা হচ্ছে না।

বড়দিন উপলক্ষে দেশের খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীসহ বিশ্ববাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ । এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, “যিশু খ্রিষ্ট মানুষের মধ্যে ভালোবাসা, সেবা, ক্ষমা, মমত্ববোধ, সহানুভূতি ও ন্যায় প্রতিষ্ঠাসহ শান্তিপূর্ণ অবস্থানের শিক্ষা দেন। জাগতিক সুখের পরিবর্তে তিনি ত্যাগ, সংযম ও দানের মাধ্যমে পরমার্থিক সুখ অর্জনের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। জাতিতে জাতিতে সম্প্রীতি ও ঐক্য স্থাপনসহ অশান্ত বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় যিশু খ্রিষ্টের শিক্ষা ও আদর্শ খুবই প্রাসঙ্গিক বলে আমি মনে করি।”

অপরদিকে, খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের সকল সদস্যকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বড়দিন উপলক্ষ্যে দেওয়া বাণীতে সরকারপ্রধান বলেন, “ ধর্ম যার যার, উৎসব সবার’এ মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে আমরা সবাই একসঙ্গে উৎসব পালন করি। আমাদের সংবিধানে সকল ধর্ম ও বর্ণের মানুষের সমান অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। এ দিনে খ্রিষ্টান ধর্মের প্রবর্তক যিশু খ্রিষ্ট জন্মগ্রহণ করেন।”

‘পৃথিবীতে ন্যায় ও শান্তি প্রতিষ্ঠা করার মাধ্যমে শোষণমুক্ত সমাজ ব্যবস্থা প্রবর্তন ছিল যিশু খ্রিষ্টের অন্যতম ব্রত’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বাণীতে আরও বলেন, “ মহামতি যিশু বিপন্ন ও অনাহারক্লিষ্ট মানুষের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করেছেন। তার জীবনাচরণ ও দৃঢ় চারিত্রিক গুণাবলীর জন্য মানব ইতিহাসে তিনি অমর হয়ে আছেন।”

Link copied!