বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী এবং জাতির পিতার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উদযাপনে অংশ নেওয়ার জন্য এ মাসেই ঢাকা সফরে আসছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বাংলাদেশে আসছেন মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম মোহাম্মদ সোলিহ এবং নেপালের রাষ্ট্রপতি বিদ্যা দেবী ভান্ডারীও।
এ ছাড়াও কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান এবং ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং সহ আরও কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্র প্রধানদের এ আয়োজনে ভার্চুয়ালি যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একাধিক সূত্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপন বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়কারি ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেছেন, "বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বর্ষপূর্তি ও বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী উপলক্ষে ১৭ মার্চ থেকে ২৬ মার্চ পর্যন্ত ১০ দিনের কর্মসূচি পালন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ সরকার।"
মঙ্গলবার গণমাধ্যমকে কামাল আবদুল নাসের বলেন, "আমরা ১৭ থেকে ২৬ মার্চ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত ১০ দিনের কর্মসূচি চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে কাজ করছি। আমরা বিভিন্ন উচ্চ-পদস্থ অতিথি যেমন কয়েকটি মিত্র দেশের রাষ্ট্র বা সরকার প্রধানদের আমন্ত্রণ জানাতে চাইছি। তাদের মধ্যে কয়েকজন সশরীরে সফর করবেন, আবার কেউ কেউ ভার্চুয়ালি অংশ নেবেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী এবং নেপাল ও মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতিদের ঢাকা সফর সম্পর্কে বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক হওয়ার কথা। যোগ করেন নাসের।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্রমতে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২৬ মার্চ, মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি ইব্রাহিম মোহাম্মদ সোলিহ ১৭ মার্চ এবং ২২ মার্চ নেপালের রাষ্ট্রপতি বিদ্যা দেবী ভান্ডারী ঢাকায় আসবেন। সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনে অংশ নেওয়ার পাশাপাশি তারা রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকও করবেন।
ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশনের শীর্ষ পর্যায়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, “ভারতে কোভিড-১৯ মহামারি শুরু হওয়ার পর দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এটিই প্রথম বিদেশ ভ্রমণ হতে যাচ্ছে। তিনি ভারত সরকারের ‘প্রতিবেশী প্রথম’ নীতি বহাল রাখতে বাংলাদেশে আসছেন।”
ভারতীয় হাইকমিশনের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ করে বলেন, “এই সফরের সময় বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার সম্পর্ক সম্পর্কিত কিছু উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।”
নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ এক সহযোগী বলেন, “কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের কারণে বাংলাদেশে মুজিব বর্ষ উদযাপন স্থগিত করা হয়েছিল। সে জন্যই এখন মুজিববর্ষ এবং সুবর্ণ জয়ন্তী একত্রে বৃহৎ আকারে উদযাপনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।”
“জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানটি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় আয়োজন করা হবে।”
উদযাপনের অংশ হিসাবে, ১০ দিনের এ কর্মসূচিতে প্রতিদিন দু'টি অধিবেশন, একটি আলোচনা সভা এবং একটি সাংস্কৃতিক অধিবেশনের আয়োজন থাকবে।
সূত্র: ঢাকা ট্রিবিউন।