অক্টোবর ১২, ২০২২, ০১:০৩ পিএম
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, চলমান গাইবান্ধা-৫ আসনের উপ-নির্বাচন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। ভোটকেন্দ্রের গোপনকক্ষে অবৈধভাবে প্রবেশ ভোট দিতে স্বচক্ষে দেখেছি।
বুধবার দুপুরে নির্বাচন কমিশন ভবন থেকে সিসিটিভি ক্যামেরায় নির্বাচন পর্যবেক্ষণের সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই মন্তব্য করেন।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনে ব্যাপক অনিয়মের কারণে ১৪৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ইতোমধ্যে ৪৪টি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। আমরা নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে সিসিটিভির মাধ্যমে ভোটগ্রহণ সরাসরি পর্যবেক্ষণ করছি। কোনো কেন্দ্রে অনিয়ম হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটগ্রহণ বন্ধ করে দিচ্ছি।’
সিইসি বলেন, আমরা নির্বাচন কমিশন, স্বাধীন কমিশন। আমরা ভোটটাকে সত্যিকার অর্থে ভোট হিসেবে দেখতে চাই। কিছু অনিয়ম দেখা গেছে, ওখানে সুষ্ঠুভাবে ভোট হতে দেখা যাচ্ছে না। এতে সঠিক জনমতের প্রতিফলন হবে না। সে কারণে আমরা ওই সেন্টারগুলোকে বাতিল করে দিয়েছি।
গত ২৩ আগস্ট এই আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়ার মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়। এই আসনে দলীয় ও স্বতন্ত্র মিলিয়ে মোট পাঁচজন প্রার্থী এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁরা হলেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. মাহমুদ হাসান (নৌকা), জাতীয় পার্টির প্রার্থী এইচ এম গোলাম শহীদ রঞ্জু (লাঙল), বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম (কুলা) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী নাহিদুজ্জামান নিশাদ (আপেল) ও সৈয়দ মাহবুবার রহমান (ট্রাক)।