গেজেটের ৯০ দিনের মধ্যে উপনির্বাচন: ইসি আলমগীর

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

ডিসেম্বর ১১, ২০২২, ০২:৪৯ পিএম

গেজেটের ৯০ দিনের মধ্যে উপনির্বাচন: ইসি আলমগীর

বিএনপির এমপিদের পদত্যাগের কারণে আসনগুলো শূন্য ঘোষণার ৯০ দিনের মধ্যে সেগুলোতে ভোটগ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর। রবিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

আলমগীর বলেন, 'নির্বাচন কমিশন যখন গেজেট পাবে তখন তার পরিপ্রেক্ষিতে ব্যবস্থা নেবে। এর আগে কিছু করার সুযোগ নেই। যদি সত্যি তারা পদত্যাগ করে থাকেন, তাহলে নির্বাচন কমিশন এর পরে ৯০ দিনের মধ্যে উপনির্বাচন করতে পারবে। সংসদ সচিবালয় থেকে গেজেট হবে, এর পরে আমাদের কাজ শুরু হবে।'

উপ-নির্বাচন হলে কয়েকমাসের মধ্যেই আবার দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন, এ বিষয়টি সামনে আনলে এই কমিশনার বলেন, ‘এটা তো সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা। আসন শূন্য হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। ৯০ দিন তো আর যাবে না। গেজেট পাওয়ার পর দেখা যাবে যে দুই মাস লাগতে পারে, দেড় মাসও লাগতে পারে। নির্বাচন করতেই হবে। কারণ আসন শূন্য রাখার তো কোনো সুযোগ নেই।’

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, ‘এখন বিষয়হলো যে সুষ্ঠু নির্বাচন করাটা যদি মূল উদ্দেশ্য হয়ে থাকে, তাহলে আমি বলবো যে ইভিএম ভালো। এদেশের নির্বাচনে যারা হেরে যান, তারাই বলেন যে কারচুপি হয়েছে। কাজেই কেউ যদি হেরে যান বলার সুযোগ থাকবে না, যে কারচুপি হয়েছে। ইভিএমে যতো নির্বাচন করেছি, হেরে যাওয়ার পর দেখেন কোনো অভিযোগ আছে কি না। কিন্তু যেখানে ব্যালটে নির্বাচন হয়, সেখানে ভোট ঠিকমত করেনি, ভোট আগে দেয়, পরে দেয়; নানা কথা হয়। ইভিএমের প্রভাব বিস্তার করার কোনো সুযোগ নেই। আমাদের সামর্থ্য থাকলে ৩০০ আসনেই ইভিএমে নির্বাচন করতাম।’

এর আগে রবিবার বিএনপি দলীয় সাত জন সংসদ সদস্য স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন। তাদের মধ্যে সশরীরে উপস্থিত হয়ে জমা দেওয়া ৫ জনের পদত্যাগপত্র ইতোমধ্যে গ্রহণ করা হয়েছে। বাকি দুই জনের ক্ষেত্রে যাচাই-বাছাই করে তিনি সিদ্ধান্ত জানাবেন বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন স্পিকার।

Link copied!