মুসলিম সম্প্রদায়ের অন্যতম বড় উৎসব ঈদ উল আজহা। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো ছাড়া এশিয়ার বেশিরভাগ দেশে রবিবার ঈদ উল আজহা উদযাপিত হবে। সৌদি আরবে আজ(শনিবার) পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হচ্ছে। আর এই দেশটির সাথে মিল রেখে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় অর্ধশতাধিক গ্রামে ঈদ উল আজহা উদযাপিত হচ্ছে।
চাঁদপুরের প্রায় অর্ধশত গ্রামে ঈদ:
এই জেলার হাজিগঞ্জ উপজেলাসহ পার্শ্ববর্তী উপজেলার প্রায় অর্ধশত গ্রামে শনিবার (৯ জুলাই) ঈদুল আযহা উদযাপিত হচ্ছে। সকাল ৯টায় সাদ্রা সিনিয়র ফাজিল মাদরাসা প্রাঙ্গণে প্রধান ঈদের জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ইমামতি করেন সাদ্রা দরবার শরীফের পীর মাওলানা আবু ইসহাকের নাতি মাওলানা আরিফ চৌধুরী।
১৯২০ সাল থেকে হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা গ্রামে এ রীতি চলে আসছে। মরহুম মাওলানা ইসহাক সাহেব হানাফী মাযহাবের অনুসারে সারা বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে চাঁদ দেখা গেলে ঈদ পালনের বিধান আছে। সে অনুযায়ী সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে ধর্মীয় উৎসবগুলো যেমন ঈদ-উল-ফিতর, ঈদ-উল-আযহা এবং পবিত্র মাহে রমজানের রোজাসহ যাবতীয় ইসলামিক দিনগুলো পালন করে আসছেন এসব গ্রামের বাসিন্দারা। তারই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার (৮ জুলাই) ইয়াওমে আরাফা অর্থাৎ পবিত্র হজের দিন হওয়ায় আজ শনিবার পবিত্র ঈদ-উল-আযহার নামাজ এবং কোরবানি সম্পন্ন করেন তারা।
আগাম ঈদ পালন করা গ্রামগুলোর মধ্যে হাজিগজ উপজেলার বলাখালে দুটি জামাত, ওলিপুরে একটি জামাত, সাদ্রা দুটি জামাত, সমেশপুরে একটি জামাত ও জাকনি গ্রামে একটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়। ফরিদগঞ্জ উপজেলার সুরঙ্গচাউল, কাইতাড়া উভারামপুর, টোরামুন্সির হাট, সাচনমেঘ, মাছিমপুর, বাশারা, উটতলীসহ প্রায় ৪০ টি গ্রামে ঈদ-উল-আযহা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
সাতক্ষীরা:
সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে সাতক্ষীরা সদরের ভাড়ুখালী ও বাউকোলা গ্রামের কয়েকটি এলাকার মুসল্লিরা শনিবার ঈদ-উল-আযহার নামাজ আদায় করেছেন।
এদিন, সকাল সাড়ে সাতটায় বাউকোলা পূর্বপাড়া জামে মসজিদে মাওলানা মোহাব্বত আলীর ইমামতিতে নামাজ আদায় করেন নারীসহ ৬০-৭০ জন মুসুল্লি। বাউকোলা পূর্বপাড়া জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মোহাব্বত আলী বলেন, আমরা অন্য দেশের সাথে মিল রেখে আজ ঈদ উদযাপন করছি।
শরীয়তপুরে ৩০টি গ্রামে ঈদ
সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে শনিবার (৯ জুলাই) শরীয়তপুরের প্রায় ৩০টি গ্রামের কিছু সংখ্যক মানুষ ঈদুল আজহা উদযাপন করছেন। এরা সবাই সুরেশ্বর দরবার শরীফের অনুসারী। প্রতিবছরের মত সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখেই এবারও ঈদুল আজহা উদযাপন করেন তারা।
সকাল সাড়ে ৯ টায় দরবার শরীফ মাঠে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন সুরেশ্বর দরবার শরীফের গদীনশীল পির সাহেব ছৈয়দ শাহ নুরে কামাল নুরীর ভাই ছৈয়দ শাহ নুরে বেলাল নুরী।নড়িয়া উপজেলাসহ বিভিন্ন উপজেলা ও দেশের বিভিন্ন স্থানে থাকা দরবার শরীফের মুরিদরা ঈদের নামাজ আদায়ের জন্য দরবার শরীফে আসেন।
এছাড়া, পটুয়াখালীর ২৮ গ্রাম, দিনাজপুরের পাঁচ উপজেলা, ভোলার ১৪ গ্রাম, ঝিনাইদহের ১০ গ্রাম ও নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে শনিবার পবিত্র ঈদুল আজহা উদ্যাপিত হচ্ছে। এসব জায়গার মানুষ বহু বছর ধরে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ পালন করে আসছেন।